দেশে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল, তখন অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে। একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তাঁর যাওয়া। পেশাগত কাজে তাঁকে সেখানে ২০ দিন থাকতে হয়। ফিরে এসে শুনতে পান এই আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনার খবরও। দেশে ফিরে তাই ফেসবুকে আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল, এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক ও সভ্যতাবহির্ভূত।’
কেন মনে হচ্ছে কোভিডের সময়ের চেয়েও ভয়ংকর সময় কাটছে, জানতে চাইলে চঞ্চল বললেন, ‘ওই সময় তো ইন্টারনেট ছিল। ইন্টারনেট থাকার কারণে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত। ভাই-বোন, মা–বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা যেত। এখন তো শুনছি, অনেকের মুঠোফোনের ব্যালান্সও শেষ হয়ে গেছে। ইন্টারনেট না থাকার কারণে, অনেক কিছুই বন্ধ আছে। আত্মীয়স্বজনের অনেকের খবর নিতে গিয়ে শুনছি, একই অবস্থা। সব মিলিয়ে বলতে পারি, একটা বড় দুর্যোগপূর্ণ সময় পার করছি।’
আশাবাদী চঞ্চল চৌধুরী সবশেষে জানালেন, ‘এই দুর্যোগপূর্ণ সময় যত তাড়াতাড়ি কেটে যায়, ততই মঙ্গল। আজকে (রোববার) আদালতের রায় ঘোষণা হলো, এরপর যত দ্রুত দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে, ততই মঙ্গল। এটা শুধু আমার একার নয়, শান্তিকামী সব মানুষেরই কামনা। অসংখ্য মানুষই এমনটা আশা করছে।’