অভিনয়শিল্পী স্বামী ইন্তেখাব দিনারকে নিয়ে ঈদের পরদিন রাতে হাজির হয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী বিজরী বরকতউল্লাহ।
অভিনয়শিল্পী স্বামী ইন্তেখাব দিনারকে নিয়ে ঈদের পরদিন রাতে হাজির হয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী বিজরী বরকতউল্লাহ।

বিয়ের ১১ পেরিয়ে ১২–তে, বিজরীকে দিনার যা বললেন

টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার। ২০১৩ সালের বাংলা নববর্ষে তাঁরা ভালোবেসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নববর্ষের এই দিনে কেন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা জানালেন নিজেরাই। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক বিজরী-দিনারের বিয়ে ও বিয়ের পরের নানা গল্প—
প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিজরী ও দিনার দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় এই দুই তারকার বিয়ে ২০১৩ সালের বাংলা নববর্ষে একেবারে ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হয়। ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় সেদিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা ছাড়াও বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের কাছের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। বিজরী ও দিনারের আংটিবদলের একটি মুহূর্ত
বিয়ের ১১ বছর পার করেছেন দিনার ও বিজরী। ২০২৪ সালের আজকের দিনে দিনার তা নিজের ফেসবুকে মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আনন্দ–বেদনায় পেরিয়ে গেল আমাদের ১১ বছর। তোমাকে আজও অনেক ভালোবাসি বিজরী। শুভ বিবাহবার্ষিকী।’
অভিনয়ের মানুষ বিজরী ও দিনার অভিনয়ের ব্যস্ততা শেষে সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ঘোরাঘুরির তেমনই একটি মুহূর্তে তাঁরা।
বাঙালির সর্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ। এই দিনে বাংলাদেশ ও বিশ্বের তাবৎ বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে। দিনটিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে বিজরীর বক্তব্যটা এ রকম, ‘উৎসবের জন্য আমরা এই দিনকে বেছে নিয়েছি। পারিবারিকভাবেই সবাইও তাই এই দিনে বিয়ের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
১৯৯৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ প্রযোজিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক দিয়ে বিজরীর আনুষ্ঠানিক অভিনয়ে অভিষেক। ১৯৮৮ সালে ‘সুখের ছাড়পত্র’ নামে একটি নাটকে বিজরীকে ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গেছে, সেটিকে ঠিক অভিনয়ের শুরু বলতে চান না এই অভিনেত্রী। ছবি: বিজরীর ফেসবুক
ইন্তেখাব দিনারের অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর। বন্ধুদের সঙ্গে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের একটি মঞ্চনাটক দেখতে গিয়েছিলেন। নাটকটি দেখে ভালো লাগার পর আরও কয়েকটি নাটক দেখেন এবং অভিনয়ে আগ্রহী হন। এমন সময় নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের একটি বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন। ইন্টারভিউতে কৃতকার্য হয়ে ১৯৯৫ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন। ছবি: বিজরীর ফেসবুক
২০০১ সাল পর্যন্ত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে ইন্তেখাব দিনার ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, ‘অচলায়তন’, ‘মৃত্যু সংবাদ’, ‘গ্যালিলিও’, ‘দেওয়ান গাজীর কিচ্ছা’ এবং ‘শঙ্খচিল’ নাটকে অভিনয় করেন। অন্যদিকে মঞ্চে কাজ করার পাশাপাশি ইন্তেখাব টিভি নাটকেও অভিনয় শুরু করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম নাটক গাজী রাকায়েতের পরিচালনায় ‘গোর’। নাটকটি প্রশংসিত হয়। তবে আফসানা মিমির ‘বন্ধন’ নাটকের মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন।