দর্শকদের জন্য সব সময়ই ভিন্ন ধরনের গল্প বলতে চান সালাহউদ্দিন লাভলু। কারণ, তাঁর নির্মিত নাটক নিয়ে দর্শকদের আলাদা আগ্রহ থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় তিন বছর আগে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘অতিথি’ নাটক। নাটকটি প্রশংসিত হলেও সেই অর্থে ভিউ কিছুটা কম ছিল। সেই নাটকই তৃতীয় একটি পক্ষ ইঙ্গিতপূর্ণ নাম দিয়ে প্রচার করে। তারপর হু হু করে বেড়ে যায় নাটকের ভিউ।
সালাহউদ্দিন লাভলু জানালেন, তাঁর পছন্দের একটি নাটক ‘অতিথি’। তিন বছরের বেশি সময় আগে এটিএন বাংলার জন্য তৈরি করেছিলেন। সেই নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রওনক হাসান ও মৌসুমী হামিদ। শৈল্পিক জায়গা থেকে নাটকের নাম নিলেও সেই নাটক কে বা কারা ‘স্বামী নাই’ নামে ইউটিউবে ছেড়েছেন, সেটা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করলেন এই নির্মাতা।
সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। শুনে অবাক লাগছে। এখন ইঙ্গিতপূর্ণ নাটকের নাম নিয়ে অশৈল্পিক একটা চর্চা হচ্ছে। এটা যে–ই ছাড়ুক, মনে হবে আমি বা প্রযোজক অর্থের জন্য এই কাজ করেছি। “অতিথি” নামটি এক রকম। অন্যদিকে “স্বামী নাই” নামটি টোটালি আলাদা। এটায় দায়টা আসবে আমাদের ওপর। কিছু মানুষ অর্থের জন্য পুরো নাটককেই নষ্ট করছেন। যে কারণে তাঁরা একশ্রেণির দর্শকদের টার্গেট করছেন। যাঁরা কুরুচিপূর্ণ বা ইঙ্গিতপূর্ণ নাম শুনেই নাটক দেখতে যান। এটা হয়তো তৃতীয় পক্ষের কাজ। এগুলো অন্যায়।’
নাটকের অভিনেতা রওনক হাসান এই নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, নাটক এগিয়ে নিতে যখন দিন–রাত পরিশ্রম করছেন। সেখানে কিছু মানুষের কারণে স্রোতে আবহে পরে যাচ্ছেন। ভালো কাজ করেও দিন শেষে সম্মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ, এসব নাটকের দর্শক আলাদা।
রওনক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ ‘‘অতিথি” নামে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের একটা নাটকে অভিনয় করেছিলাম। সেটা ইউটিউবে তিন বছরে চার মিলিয়নের বেশি ভিউ হয়। মাত্র কয়েক মাস আগে অন্য একটি চ্যানেল থেকে একই নাটক “স্বামী নাই” নামে আপলোড হয়। সেই নাটক মাত্র এই কয়দিনে এক কোটির বেশি ভিউ।’
রওনক আরও বলেন, ‘এটা ভাবনার বাইরে। এখন ইউটিউবে বেশির ভাগ নাটকের নাম থাকে ইঙ্গিতপূর্ণ। এই ধরনের নাটকের প্রতি অধিকাংশ দর্শকদের আগ্রহ। এখন শিল্পী হিসেবে আমরা এই ধরনের কাজ না চাইলেও এই প্রবাহে পড়ে যাচ্ছি। “অতিথি” থেকে হয়ে গেলাম “স্বামী নাই”–এর অভিনেতা।’