আফজাল হোসেন
আফজাল হোসেন

নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যদের দোষী ভাবা—রোগ, অসুস্থতা: আফজাল হোসেন

অভিনেতা, চিত্রকর ও পরিচালক আফজাল হোসেন প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। তাঁর লেখায় সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গও উঠে আসে। সম্প্রতি তিনি লিখলেন, ‘আ হেলদি মাইন্ড ডাজ নট স্পিক ইল অব আদারস’ বিষয়কে কেন্দ্র করে। আফজাল হোসেন এ বিষয়ে তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মানুষ নিজের দিকে তাকাতে পারে, নিজেকে দেখতে পায় না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যা দেখে, তা খোলস। যা দেখতে পায়, তা ভেতর নয় বাহির।’

আফজাল হোসেন আরও লিখেছেন, ‘নিজেকে দেখার সাধ্য খুব কম মানুষের থাকে। অধিকাংশ মানুষ অন্যের দিকে তাকাতে, দেখতে, অন্যের ত্রুটি ধরে সুখ পেতে ভালোবাসে।’

আফজাল হোসেন

তিনি বলেন, ‘এ রকম মানুষেরা অহরহ ভেবে থাকে, আমি সাধু, বাদবাকি সবাই চোর। এই যে নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যদের দোষী ভাবা, তা রোগ, অসুস্থতা।’
ইদানীং মানুষের মধ্যে সম্মান দেওয়ার প্রবণতাও কমেছে। প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এসব কারণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও কমছে। যে যাকে পারছে, যা খুশি বলছেও। আফজাল হোসেনের কথায় তেমনটাই যেন উঠে এল।

এ রকম মানুষেরা অহরহ ভেবে থাকে, আমি সাধু, বাদবাকি সবাই চোর। এই যে নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যদের দোষী ভাবা, তা রোগ, অসুস্থতা
আফজাল হোসেন
আফজাল হোসেন

তিনি বলেন, ‘সম্মান দেওয়ার বোধে যদি শেওলা পড়ে, অসম্মান করার তরবারি কেবলই ধারালো হতে থাকে। মন্দের অভিপ্রায় যদি থাকে, ভালোর ইচ্ছাতেও ঢুকে পড়ে বেনোজল। আমরা অপর সম্পর্কে মন্দ বলি কারণ, বলতে ভালো লাগে। বলতে বলতে শোনা কথা সন্দেহসহকারে বিশ্বাস করার অভ্যাস তৈরি হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টের একেবারে শেষে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘সত্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ঢুকেছে আর অসত্য, অসভ্যতা, পরনিন্দায় বেড়েছে আগ্রহ। বেড়েই চলেছে ভালোর ভান। ভান নিত্য আমাদের চুলায় ঢোকাচ্ছে, পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। যাতনা নেই, সকলেরই দিন যেন কাটছে পরমানন্দে।’

আফজাল হোসেন