অভিনয় দিয়ে দর্শকমন জয় করা জয়া আহসান নিজেকে নানা ধরনের সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও যুক্ত রেখেছেন। অভিনয়শিল্পী জয়ার এমন ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের শেষ দিনে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি তাঁকে এক বছরের জন্য তাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২২ সালে সেই চুক্তি শেষ হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার জানা যায়, ইউএনডিপি আরও দুই বছরের জন্য জয়া আহসানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করেছে।
ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জয়া আহসানের সঙ্গে যখন কথা হয়, তিনি তখন ঢাকা আর্ট সামিটে। প্রথম আলোকে তিনি জানালেন, ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হওয়ার ব্যাপারটি এমনিতে আনন্দের। দ্বিতীয়বার হওয়াটা আরও বেশি আনন্দের।
জয়া বললেন, ‘শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দিত, অন্যদিকে ইউএনডিপির হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব ভেবে সম্মানিতবোধ করছি।সুন্দর এই পৃথিবী রক্ষার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা, যা এসডিজি নামে পরিচিত, নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমার কাজের মধ্য দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব। যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’
ইউএনডিপির সঙ্গে এসডিজি ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়, যেমন দারিদ্র্য, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি ও লিঙ্গসমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন বলে জানালেন জয়া আহসান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয়া আহসান ২০২২ সাল থেকে গত এক বছর ধরে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করবেন।
জয়া আহসান আরও বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের জন্য মাত্র সাত বছর বাকি আছে, আমাদের এ পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে হলে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জয়া আহসানের মতো একজন, যিনি শুধু জনপ্রিয় শিল্পী নন, পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এমন একজন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান। গত এক বছরে তাঁর মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো গেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব, যা একটি সুন্দর, সুখী এবং সবার জন্য সমান একটি পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য সহায়ক হবে।