সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। জামদানি শাড়িতে এদিন নজর কাড়েন তিনি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক জয়া আহসানের স্থিরচিত্রগুলো
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান সমানতালে ভারতেও জনপ্রিয়। কলকাতার পরিচালকেরা তাঁকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকেন। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয়দক্ষতায় বরাবরই সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যান এই তারকা। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে গেলেন ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের আসরে।
মুম্বাইয়ে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের এটি ছিল পঞ্চম আসর। আয়োজনে সিরিজ, সিনেমা ও ক্রিটিকস—এই তিন ক্যাটাগরিতে ৩৯টি পুরস্কার পান তারকারা। বলিউড ও টালিউডের তারকাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪’-এ তিনি পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কারও।ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের এবারের আসরে জামদানি পরে হাজির হন জয়া আহসান। ব্যতিক্রমী এক নকশায় জামদানি গায়ে চড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
জামদানি পরিহিত জয়াকে গতকাল মঙ্গলবার আবিষ্কার করা হয় তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে। তিনি ডজনখানেক স্থিরচিত্র পোস্ট করেন। জয়ার আপলোড করা সেসব স্থিরচিত্র নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কারণ, জয়ার পরনে যে শাড়ি রয়েছে, তার নকশা ও শাড়ি পরার ধরনটি একটু আলাদা। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।স্থিরচিত্র পোস্ট করে জয়া তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি যে সংস্কৃতি ধারণ করি, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তা উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। একজন শিল্পী হিসেবে এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজ্ঞাপন
জয়া আরও বলেন, ‘ঢাকাই জামদানি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার আমি জামদানি শাড়ির গতানুগতিক উপস্থাপনের ধরনটি ভাঙার চেষ্টা করেছি। সবার সামনে তা উপস্থাপনের জন্য ফিল্মফেয়ারের চেয়ে ভালো আর কোনো জায়গা নেই বলে আমি মনে করেছি।’জয়া আরও লেখেন, ‘এখানে খ্যাতিমান শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়। এখানে অংশগ্রহণ করতে পারাকে সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে করি। ধন্যবাদ ফিল্মফেয়ার কর্তৃপক্ষকে।’জয়া জানান, ভিন্ন নকশায় তৈরি এই জামদানি শাড়ি তৈরি করতে প্রায় ছয় মাস লেগেছে।ভক্তদের পাশাপাশি তারকাদের অনেকেই জয়ার এসব স্থিরচিত্রে মন্তব্য করেছেন। কেউ নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে তা শেয়ারও করেছেন। অভিনয়শিল্পী রুনা খান লিখেছেন, ‘আহা কন্যা...! কীভাবে যে বলি, আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।’ইফতেখার মুনিম নামের একজন লিখেছেন, ‘সত্যিই অসাধারণ। দেশীয় ঐতিহ্যের এমন রাজসিক উপস্থাপন। দেখে মুগ্ধ হলাম।’