আয়োজনটি ছিল অন্য রকম। পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতির বিয়ের ১৩ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছে তাঁদের কাছের মানুষেরা।
১৬ জুলাই ছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছর। সাত দিন পর ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় সারপ্রাইজ পার্টিতে ফারুকী ও তিশাকে শুভকামনা জানাতে উপস্থিত হন বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের কাছের মানুষেরা। সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সিনেমা ও নাটকসংশ্লিষ্ট গ্রুপে এখন আলোচনা চলছে কোন ছবি কে ফ্রেমবন্দী করেছেন। এই হিসেব ভক্তরা মেলাতে পারছেন না।
গত রোববার রাতে ফারুকী তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কালকে আমার শরীরটা একটু কেমন কেমন জানি ছিল। ভাবলাম ডেঙ্গু কি না। টেস্ট করার জন্য রাজ (মোস্তফা কামাল রাজ) আমাকে নিয়ে গেল। প্ল্যান ছিল, সেখান থেকে রাজ তার একটা ব্যক্তিগত কাজে আমাকে নিয়ে যাবে। টেস্ট শেষে নিয়ে গেল এক রেস্টুরেন্টে। ভাবলাম রাজ বিয়ে করতেছে নাকি, মেয়েপক্ষ আসবে বলে আমারে নিয়ে আসল নাকি, নাকি ও ফ্ল্যাট কিনল, সে উপলক্ষে খাওয়াবে। ওদিকে ভেতরে শিকারিরা ক্যামেরা তাক করে আমার বোকা হয়ে যাওয়া মুহূর্ত ক্যাপচার করবে বলে। ভেতরে ঢুকে দেখি আমাদের অ্যানিভার্সারি সারপ্রাইজ পার্টি! সেখানে যাওয়ার পর দেখি আমার ডেঙ্গু হাওয়া। লাইফ ইজ বিউটিফুল।’
আয়োজনটি যে বিশেষ ছিল, সেটা বোঝা যায় তিশার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘কালকে রাতের ভাইব থেকে এখনো বের হতে পারছি না। সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের অ্যানিভার্সারি পার্টিটা এত স্মরণীয় করে দেওয়ার জন্য। লাভ ইউ অল।’ এই সারপ্রাইজ পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ফারুকীর সহকারী পরিচালক রেদওয়ান রনি, মোস্তফা কামাল রাজ, আশফাক নিপুন, আদনান আল রাজিব, শরাফ আহমেদ জীবনসহ অনেকে। তাঁরা সবাই এখন পরিচালনায় ব্যস্ত। এ ছাড়া শুভকামনা জানাতে এসেছিলেন ইরেশ যাকের, আবু শাহেদ ইমন। অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণ, গায়িকা এলিটা করিমসহ অনেকে।
এ সময়ের তরুণ তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণ অভিনয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। তাঁদের পাওয়া গেল একই ফ্রেমে। একটি ছবিতে দেখা যায়, সাবিলা মেহজাবীনকে জড়িয়ে ধরে আছেন। তাঁর ওপর ভর দিয়ে বলা যায় শুয়ে পড়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। তাঁদের সম্পর্কটা যেন অনন্য। তাঁদের পেছনে হাসছেন এলিটা ও তিশা। পাশে উপস্থাপক নীল হুরের জাহান। ছবিটি নিয়ে আলাদা করে ফেসবুকে নাটকসংশ্লিষ্ট গ্রুপে ভক্তদের নজর কেড়েছে, আলোচনা হচ্ছে। সেই ছবির ফটোগ্রাফার কে, এটা নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা গেল। সেই বিভ্রান্তি দূর করলেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। রেদওয়ান রনি, মোস্তফা কামাল রাজ, আশফাক নিপুন ও আদনান আল রাজীব কেউ নন, ফারুকী নিজেই এই ছবিটি ফ্রেমবন্দী করেছেন।
ছবি ও আড্ডা নিয়ে ফারুকী তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘প্রথম ছবিতে এক দল ফটোগ্রাফার। আর দ্বিতীয় ছবিতে যে সুন্দরীরা তাদের ফটোগ্রাফার বানাল। তার পরের ছবিগুলোতে “হারানো দিনের পুরোনো কথা”–বিষয়ক টক শোর কিছু মোমেন্ট। কালকে এ সময় যদি খালি একটা ক্যামেরা ওপেন করে রাখা যাইতো, তাহলেই এটা জমজমাট এক শো হয়ে যেত! এমন অনেক কথা উঠে আসছে যেটা আমি নিজেই জানতাম না। সব একাকার হয়ে আসছিল। আশা করি কোনো এক দিন সেই সব সময় নিয়ে আমরা কিছু একটা বানাতে পারব। ১৮ প্লাস কনটেন্ট হবে সেটা নিশ্চিত। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবর্তনের চিহ্নগুলাও আমাদের জীবনের ভেতর দিয়ে চলে আসবে। রুদ্ধশ্বাস, স্বপ্নময়, কেয়ারলেস সেই সব দিন।’