নির্মাতা মোহন খান
নির্মাতা মোহন খান

আজিমপুরে সমাহিত নির্মাতা মোহন খান

নাট্যনির্মাতা মোহন খানের বাবা-মা দুজনকে সমাহিত করা হয় ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে। একই কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে মোহন খানকেও। বাদ জোহর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করার আগে মোহন খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় লালমাটিয়া শাহি মসজিদে। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় আজিমপুরে। প্রথম আলোকে এসব তথ্য দিয়েছেন তাঁর ভাগনে তুষার খান।

মাসখানেকের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন নাট্যনির্মাতা মোহন খান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে মোহন খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর লালমাটিয়ার বাসায়। এরপর নাট্যাঙ্গনের মানুষ ও সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেওয়া হয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। সেখানেই প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পকলা একাডেমির আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোহন খানের মরদেহ আবার নেওয়া হয় লালমাটিয়ায়। বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে মোহন খানকে সমাহিত করা হয় বলে জানালেন তাঁর ভাগনে তুষার খান।

মোহন খান। ছবি: ফেসবুক

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ মাসের শুরুর দিকে প্রথম আলোকে মোহন খানের ছেলে ইউশা মোহন জানিয়েছিলেন, শুরুতে তাঁর বাবাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে মোহন খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

ইউশা মোহনের কাছ থেকে এ-ও জানা যায়, গত মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহন খান। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা জানতে পারেন, মোহন খানের ব্রেনে টিউমার হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই টিউমারের অস্ত্রোপচার করতে হয়। তারপর শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরের প্রেশার পয়েন্টে একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এর পর থেকেই তাঁর বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

মোহন খানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
দেশের নাট্যাঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ তিন দশকের বেশি সময়। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাও করেন।

মোহন খান। ছবি: ফেসবুক

তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচারিত হয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুরলতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সবশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।