বরাবরই নানা বিষয়ে অন্তর্জালে সরব আশফাক নিপুন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন ‘মহানগর’ নির্মাতা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও নিজের মত জানাচ্ছেন তিনি। আজ বিকেলেও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে নতুন পোস্ট দিয়েছেন নিপুন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল বলে উল্লেখ করেন নিপুন। তাঁর ভাষ্যে, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র–জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সব দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো, তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে ভূরি ভূরি আছে।’
কোনো রাজনৈতিক দলকেই দেশের মানুষ পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না বলেও নিজের পোস্টে লিখেছেন সময়ের আলোচিত এই নির্মাতা।
আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সব রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতাবলয়ের বাইরে থেকেই।’
সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন নিপুন। তিনি লিখেছেন, ‘অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সব রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন—বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।’
আশফাক নিপুন আরও লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোনো একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।’