ব্যাংকক ও পাতায়াতে ঘোরাঘুরি

ওয়েব সিরিজ ‘মায়া’তে অভিনয় করে প্রশংসিত হন সারিকা। নিয়মিতভাবে চলছে উপস্থাপনাও। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে ঘুরে এলেন থাইল্যান্ড থেকে। মেয়েকে নিয়ে ঘোরাঘুরির কয়েকটি স্থিরচিত্র দেখে নিন:
নিজের কাজের ব্যস্ততা আবার মেয়ের স্কুল, রয়েছে স্বামীর ব্যস্ততাও—সব মিলিয়ে সময় মেলাতে পারছিলেন না অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপিকা সারিকা সাবরিন। অবশেষে সবকিছু সমন্বয় করে বেড়াতে ছুটে গেলেন থাইল্যান্ডে। এবারই প্রথম মা-মেয়ে একসঙ্গে থাইল্যান্ড বেড়াতে গেলেন।
নিজের কাজের ব্যস্ততা আবার মেয়ের স্কুল, রয়েছে স্বামীর ব্যস্ততাও—সব মিলিয়ে সময় মেলাতে পারছিলেন না অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপিকা সারিকা সাবরিন। অবশেষে সবকিছু সমন্বয় করে বেড়াতে ছুটে গেলেন থাইল্যান্ডে। এবারই প্রথম মা-মেয়ে একসঙ্গে থাইল্যান্ড বেড়াতে গেলেন।
সারিকা বললেন, ‘এর আগে অনেকবারই ব্যাংকক আর পাতায়াতে গেছি। কত নাটকের শুটিং করেছি। কত স্মৃতি। ঘুরতে ঘুরতে সেসব জায়গা নিয়ে মেয়েকে অনেক গল্প বলেছি। মা-মেয়ের এই ঘোরাঘুরি ছিল দারুণ আনন্দের, ভীষণ উপভোগ্য।’
কোথায় কোথায় ঘুরেছেন, জানালেন সেসবও। সারিকা বললেন, ‘আমরা সবাই ২৭ অক্টোবর গেছি। ফিরেছি ৪ নভেম্বর। এর মধ্যে রিভার কাওয়াই, কাঞ্চনবুড়ি ওয়াটার ফল, ড্রিম ওয়ার্ল্ড থিম পার্ক, কোহ লার্ন দ্বীপে ঘুরেছি। রিভার ক্রুজেও অংশ নিয়েছি।’
ব্যাংককের ড্রিম ওয়ার্ল্ড থিম পার্কে সারিকার সঙ্গে তাঁর মেয়ে স্যাহরিশ আনায়াহ। দেড় দশকের অভিনয়জীবনে মাঝখানে কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন সারিকা সাবরিন। আবার কাজে মনোযোগী হয়েছেন। মন দিয়ে কাজ করছেন। গত বছর ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক ঘটে। কয়েক মাস বিরতির পর ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’তে অভিনয় করেন।
২০২০ সাল থেকে উপস্থাপনা করছেন সারিকা। এই নভেম্বরে সঞ্চালনায় চার বছর পূর্ণ হয়েছে। মাসে চারটি পর্ব সঞ্চালনা করেন তিনি, নভেম্বরে ১৯২ পর্ব উপস্থাপনা হবে। ‘আমার আমি’ দিয়েই সারিকার সঞ্চালনায় অভিষেক হলেও শুরুতে অবশ্য রাজি ছিলেন না।
দেশে সারিকার প্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত। সারিকার মতে, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি “ইত্যাদি” দেখে। ঈদ কিংবা অন্য যেকোনো উপলক্ষ বা সময়ে টিভির সামনে বসে অনুষ্ঠানটি দেখার ব্যাপারটাই অন্য রকম ছিল। ওই সময় বিনোদনের এত মাধ্যমও ছিল না। হানিফ সংকেতের কথা বলার স্টাইল, অনুষ্ঠানের কনটেন্টেও থাকত শিক্ষণীয় ব্যাপার, যা আমাদের প্রজন্ম মনে রেখেছি। শুধু কি তা–ই, এই একটি অনুষ্ঠান অনেক শিল্পীর জীবনও পাল্টে ফেলেছে। তখন তো দর্শক হিসেবে দেখেছি, ওইটার প্রভাব আসলেই অন্য রকম।’
সারিকাকে প্রথম ওয়েবে দেখা যায় অ্যানথোলজি সিনেমা ‘ক্যাফে ডিজায়ার’-এ। এ সিনেমার সঙ্গে রায়হান রাফীর ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’র চরিত্রটির একটা মিলও আছে বলে জানান সারিকা। তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রের নাম ছিল সায়রা, দারুণ একটা চরিত্র। একজন নারীর জীবনকে প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে “মায়া” ওয়েব ফিল্মেও ব্যাপারটি একই। আমাদের এখানকার গৃহবধূ বা একজন নারীর জার্নির গল্প।’