ব্রাজিল ফুটবল দলের পাঁড়ভক্ত মডেল ও অভিনেতা আদিল হোসেন নোবেল। তাঁর স্মৃতিতে যখন থেকে ফুটবল, তখন থেকেই দলটি তাঁর প্রিয়। সেই ব্রাজিল–ভক্ত নোবেল এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করতে গেলেন কাতারে! দুই বন্ধু, তাঁদের স্ত্রীসহ মোট পাঁচজনের একটি দল মিলে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা পৌঁছান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। নোবেল জানান, এবারের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দুটি ম্যাচ দেখার টিকিট তাঁরা পেয়েছেন। লটারিতে তাঁদের ভাগ্যে যে দুটি ম্যাচ এসেছে, সেই দুই ম্যাচে অংশ নিচ্ছেন আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রিয় দল ব্রাজিলের খেলা গ্যালারিতে বসে উপভোগ করা হবে না।
প্রিয় দল ব্রাজিলের খেলা দেখতে না পারার আফসোস মনের মধ্যে রয়ে গেলেও, বিশ্বকাপ ফুটবলের দুটি ম্যাচ গ্যালারিতে বসে উপভোগ করবেন ভেবে ভালো লাগছে নোবেলের। তাঁর ভাষায়, সুপার ব্রাজিল ফ্যান বলতে যা বোঝায়, আমি তা। তাই বিশ্বকাপ ফুটবল আসর শুরুর আগে যখন বাজারে টিকিট ছাড়া হয়, আমি তখনই অনলাইনে আবেদন করি। ভাগ্যক্রমে দুটি ম্যাচের টিকিট আমরা পাঁচজন পাই। কোয়ার্টার ফাইনালে কারা খেলবে, এটা আমাদের ভাবনায়ও ছিল না। শেষ পর্যন্ত এসে দেখলাম, আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের খেলা ভাগ্যে আছে।
যে দুটি ম্যাচ গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতে গেলেন, সেই দুটি ম্যাচ সম্পর্কে নোবেল এভাবেই বললেন, ‘এবার বিশ্বকাপের শুরু থেকে আর্জেন্টিনা প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের উন্নত করেছে। শেষ কয়েকটা ম্যাচ দেখে দলটি দারুণ গতি আর নিখুঁত পাসের খেলা খেলছে বলে মনে হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের বিপরীতে আর্জেন্টিনা দারুণভাবে এগিয়ে আছে। এখন দেখা যাক, মাঠে কী হয়। অন্যদিকে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের ম্যাচটা দারুণ গতির খেলা হবে মনে হচ্ছে। দুটো দলই দুর্দান্ত খেলছে। অনেকের মতে, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের খেলাটায় একরকম ফাইনাল ম্যাচের মতোই উত্তেজনা থাকবে।’
নোবেল মনে করছেন, নেদারল্যান্ডসের বিপরীতে আর্জেন্টিনা জিতবে আর ক্রোয়েশিয়ার বিপরীতে ব্রাজিল জিতবে। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের সেমিফাইনালে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক প্রবল। আর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যেদিন মুখোমুখি হবে, সেদিনই বাংলাদেশে বিশ্বকাপের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচ। কী যে হবে, কে জানে! কোয়ার্টার ফাইনালের দুটি ম্যাচ শেষে ১২ ডিসেম্বর পাঁচ বন্ধুর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান নোবেল।
মডেল ও অভিনেতা নোবেল এখন বিনোদন অঙ্গনে একেবারে অনিয়মিত। তিনি এখন মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের চিফ এন্টারপ্রাইজ বিজনেস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। একেবারে ভিন্নধর্মী কিছুর প্রস্তাব পেলে তবেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি।