বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। আজ বিকেলে ৯৫ বছর বয়সে রাজধানীতে নিজ বাড়িতেই ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। সাত দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র—তিন মাধ্যমে সমানতালে কাজ করেছেন। ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘একান্নবর্তী’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ নাটকে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমনি ‘নদী ও নারী’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘মাটির ময়না’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ চলচ্চিত্রেও ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। তাঁর কাজ নিয়ে সবারই কমবেশি জানা থাকলও এই অভিনেতার জীবনের ‘রুবী–রহস্য’ সম্পর্কে জানেন কি?
এ প্রসঙ্গে চলতি বছর প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক পড়তে ঢাকায় চলে আসনে মাসুদ আলী খান।। তবে এর আগে তাঁর জীবনে ‘প্রেম এসেছিল নীরবে’।
কুমিল্লায় যে বাড়িতে থাকতেন, তার মালিকের মেয়ে রুবী। তাঁকে দেখে তরুণ মাসুদ আলী খানের মনে অনুরাগ জন্মাল। কিন্তু রুবীকে মুখ ফুটে কখনো বলতে পারেননি সে কথা।
মজার ব্যাপার হলো, ১৯৫৫ সালে তাহমিনা খান নামে যাঁকে বিয়ে করেন, তাঁর ডাকনামও রুবী! ‘নামের কারণেই বোধ হয় তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম,’ বলতে বলতে হেসে ফেললেন মাসুদ আলী খান।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী।
মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু।