অভিনয় নয়, দুই দিন ধরে অন্য যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন ফারিণ

গানটি গাওয়ার একটি মুহূর্তে তাসনিয়া ফারিণ
প্রথম আলো

নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা পাওয়া তাসনিয়া ফারিণের জন্য নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি কলকাতার সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’-তে অভিনয় করে প্রশংসা পাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এবার নতুন করে আলোচনায় এলেন ফারিণ। নাটক কিংবা সিনেমায় অভিনয় নয়, এবার গান গেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ

তরুণদের মধ্যে অল্প সময়েই অভিনয় অঙ্গনে নিজস্ব একটা জায়গা করে নিয়েছেন ফারিণ। সিনেমা, নাটক, ওয়েব সিরিজে একের পর এক অভিনয় করে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই ভক্তদের গান শুনিয়ে চমকে দিলেন এই অভিনেত্রী। গত সোমবার প্রথম আলো ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’-এ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তিনি। পাশে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শিশু–কিশোরদের গানের অনুশীলন চলছিল। সেই আয়োজনের দায়িত্ব থাকা গীতিকার কবির বকুল লাইভ শেষে ফারিণকে নিয়ে যান শিশু–কিশোরদের অনুশীলন দেখাতে। সেখানে শিশু–কিশোরেরা ফারিণকে গান শোনায়। পরে কবির বকুল শিশুদের একটি গান শোনানোর জন্য ফারিণকে অনুরোধ করেন। প্রথম দিকে লাজুক ফারিণ রাজি না হলেও পরে বসে যান হারমোনিয়ামের সামনে। মুখে তুলে নেন দেশাত্মবোধক গান। সেই গানটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ফারিণের গাওয়া গানটি আনিসুল হকের ফেসবুক পেজ থেকে ৬৪৫বার শেয়ার হয়েছে

গানটি কবির বকুলের ফেসবুক পেজ থেকে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। গানটি আলাদা করে শেয়ার করেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হকসহ অনেকে। সব মিলিয়ে ৬ হাজারের অধিকবার ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে গানটি। এক দিনের ব্যবধানেই ফারিণের গাওয়া গানের ভিউ ৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ফারিণের গাওয়া ‘এ কী অপরূপ রূপে মা তোমার হেরিনু পল্লী জননী’ গানটি নিয়ে ফারিণভক্তরা প্রশংসায় লিখেছেন, ‘বাহ, কী প্রাণবন্ত’, কেউ লিখেছেন, ‘আপনি ভালো অভিনয় করেন জানতাম, কিন্তু এত সুন্দর গান গাইতে পারেন জানতাম না’, ‘মুগ্ধ হয়ে শুনেই যাচ্ছি, তাও মন ভরে না’, কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ‘গানটার পুরো অংশ আপনার কণ্ঠে শুনতে চাই।’ কারণ, ফারিণ গানটি দুই লাইন গেয়েছেন।

গানটি ফারিণ ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আজকে মেরিল ক্যাফে লাইভে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম প্রথম আলোর অফিসে। পাশেই ছেলেমেয়েরা একুশে ফেব্রুয়ারির প্রোগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কোনো প্রস্তুতি ছাড়া হারমোনিয়াম দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না, ঘটনাচক্রে আজকে মায়ের যে শাড়িটি পরেছিলাম, সেটিও সবুজ। অনেক বছর আগে শিল্পকলায় গান করার কথা মনে পড়ে গেল। দল বেঁধে এভাবেই রিহার্সাল চলত। স্কুল থেকে ডিরেক্ট গাড়িতে ভাত খেতে খেতে মা নিয়ে আসত স্কুল ড্রেসেই। নজরুল একাডেমির কোনার রুমটায় ১০টা পর্যন্ত চলত গরম মোগলাইয়ের সঙ্গে রিহার্সাল। যদি সত্যি আজ গান বেছে নিতাম, কেমন হতো জীবন?’

ফারিণের গাওয়া গানটি ভিডিওতে ধারণ করেন প্রথম ফেসবুকে পোস্ট করেন কবির বকুল। তাঁর পোস্ট আড়াই হাজারবার শেয়ার হয়