২০১৪ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘ইউটার্ন’ নাটক দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এক দশকের ক্যারিয়ারে টিভি নাটক ও ওটিটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই তারকা।
‘প্রথমে নাচতাম। পরে মডেলিং। যখন মনে হয়েছে অভিনয়ে যোগ দেওয়ার সময় এসেছে, তখনই অভিনয়ে এসেছি,’ ক্যারিয়ারের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে গতকাল প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন তানজিন তিশা।
২০১৪ সালে নির্মাতা রেদওয়ান রনির নাটক ‘ইউটার্ন’ দিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা ফেলেন এই অভিনেত্রী। মাঝখানে তিন বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। মডেলিং ও পড়াশোনায় মন দিয়েছিলেন। বিরতি ভেঙে ফিরে অভিনয়ে নিয়মিত হন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১০ বছরের পথচলায় নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন তানজিন তিশা।
পথটা মসৃণ ছিল না
এই সময়ে টেলিভিশন নাটক ও ওটিটির প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন তানজিন তিশা। তবে পথটা এতটা সহজ ছিল না।
তিশা বললেন, ‘এমন নয় যে আমি এলাম আর সবাই আমাকে দেখেই কাজে নিয়েছে। যেহেতু আমি থিয়েটারের মেয়ে নই। ফলে অভিনয়ে দুর্বলতা ছিল। অভিনয়টা ধীরে ধীরে শিখেছি। অনেকে আবার বলত, মডেলিং থেকে এসে অভিনয় হয় না। ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রতিটি সফলতার পেছনে উত্থান-পতন থাকে; আমারও ছিল। আমার দর্শকের ভালোবাসার জন্যই সংগ্রামটা করতে পেরেছি। এত বছরের ক্যারিয়ারে সঙ্গে থাকার জন্য দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ।’
গ্ল্যামারাস থেকে বৈচিত্র্যময় চরিত্র
মডেলিং থেকে অভিনয়ে নাম লেখানোর পর প্রথম দিকে তিশাকে শুধু রোমান্টিক নাটকে দেখা গেছে। বেশির ভাগ চরিত্রই ছিল গ্ল্যামারাস। বাছবিচার না করে সমানে এসব চরিত্র করে গেছেন তিনি। তিশা বললেন, ‘একটা সময় মনে হয়েছে, নিজেকে ভাঙতে হবে। একটা চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। তখন একেকটা চরিত্রে নিজেকে ভেঙেছি।’
১০ বছরে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। নিজের প্রিয় কাজ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিশা বলেন, ‘প্রতিটি কাজেই নিজের সেরাটা দিয়েছি। এর মধ্যে কিছু কাজ হয়তো দর্শকদের বেশি ভালো লেগেছে। সেরা পাঁচটা কাজ বলাটা কঠিন। প্রতিটি কাজই মূল্যবান।’ রোমান্টিক নাটকের পাশাপাশি তাঁকে ‘পুতুলের সংসার’, ‘রিক্সা গার্ল’, ‘নরসুন্দরী’র মতো নারীপ্রধান গল্পেও দেখা গেছে। ‘আমি নারীপ্রধান গল্প ভালোবাসি। নারীপ্রধান চরিত্র পছন্দ করি। ওই জায়গা থেকে কয়েকটি নারীপ্রধান চরিত্র করেছি। সামনে আরও কিছু নারীপ্রধান কাজ করার পরিকল্পনা করছি,’ বললেন এই তারকা।
কাউকে অনুসরণ নয়
অভিনয়ে কাকে আদর্শ মানেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিশা জানান, কাউকে তিনি আদর্শ মানেন না। আরেকটু খোলাসা করে বললেন, ‘প্রত্যেক শিল্পীরই ভালো ও খারাপ দিক থাকে। কোনো শিল্পীর কোনো দিক ভালো লাগলে সেটা আয়ত্ত করার চেষ্টা করি। তাঁর ভালো দিকটা নেওয়ার চেষ্টা করি। কখনোই কাউকে অনুসরণ করিনি, করিও না। নিজের মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।’
সামনের পরিকল্পনা
তানজিন তিশা বলেন, ‘সামনে বেশ কিছু কাজ করছি। আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে। অনেক কিছু দেখানোর বাকি আছে। আরও কিছু কাজের পরিকল্পনা করছি। তবে এখনই বলছি না।’