‘কোনোভাবেই কান্না থামাতে পারছিলাম না, মেকআপ রুমে গিয়েও আমি অনেক সময় কেঁদেছি’

তানজিন তিশা। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
তানজিন তিশা। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

ঈদ নাটকের শুটিংয়ে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন ‘শরবত’ নামের একটি নাটকের শুটিং। সেই শুটিংয়ে একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে সহশিল্পী ও কলাকুশলীদের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। শুটিংয়ে বিরতি নিয়ে রূপসজ্জাকক্ষে ঢুকেও কান্নাকাটি করেন তিশা। শুটিংয়ে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা প্রথম আলোকে জানালেন ‘শরবত’ নাটকের পরিচালক সেরনিয়াবাত শাওন।

পরিচালক শাওন জানালেন, বাবা মেয়ের খুনসুটি ও আবেগের চমৎকার একটি গল্প ‘শরবত’। সেখানে বিশেষ একটি দৃশ্য ছিল, যে দৃশ্যে শুধু তানজিন তিশাই নন, শুটিংয়ে উপস্থিত অন্য সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, গত বছর তানজিন তিশার বাবা মারা যান। এই নাটকের শুটিংয়ের সময় গল্পের কিছু অংশে বাবাকে খুঁজে পান তিনি। ‘শরবত’ নাটকে তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ। এই নাটকের মাধ্যমে প্রথমবার মামুনুর রশীদকে সহশিল্পী হিসেবে পেলেন তানজিন তিশা।

তানজিন তিশা। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

তিশা বলেন, ‘নাটকের গল্পে রাস্তায় শরবত বিক্রি করে একটা মেয়ে, যে মেয়ের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এই মেয়ের স্ট্রাগল রয়েছে। কিছু ঘটনা আবার মজার। আবার নাটকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, সেটা খুবই খারাপ লেগেছে। বাবা-মেয়ের খুনসুটির কয়েকটি দৃশ্য ছিল। শেষে এমন একটা দৃশ্য ছিল, যে দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে বারবার আমি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। কোনোভাবেই কান্না থামাতে পারছিলাম না। মেকআপ রুমে গিয়েও আমি অনেক সময় কেঁদেছি।’

তানজিন তিশা ও মামুনুর রশীদ। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

‘শরবত’ নাটকে সোনিয়া চরিত্রের তিশা রাস্তায় শরবত বিক্রি করেন। বিউটিশিয়ানের কাজে হঠাৎ বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব পায়। এ জন্য তাকে প্রায়ই সেজেগুজে থাকতে হয়। অন্যদিকে তার বাবা একা হয়ে যায়। এই নিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। তানজিন তিশা দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করলেও এবারই প্রথম মামুনুর রশীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন।

মামুনুর রশীদ ও তানজিন তিশা। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

তিনি বলেন, ‘মামুনুর রশীদ স্যার খুবই সহযোগিতা করেছেন কাজটি নিয়ে।’ সেরনিয়াবাত শাওন বলেন, শরবত ঈদে বাংলাভিশন ও পরে একান্ন মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হবে।