পেশাদার অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ। অভিনয় করতে করতে হাতে টাকা জমলে কী করেন অভিনয়শিল্পী অপর্ণা ঘোষ? টাকা জমলেই ঘুরতে বের হয়ে যান। কখনো তা দেশ কখনোবা দেশের বাইরের কোনো শহর। নিত্যনতুন জায়গা সম্পর্কে জানা, সেখানকার কৃষ্টি–কালচার, খাবারদাবার সম্পর্কে জানা তাঁর খুব আগ্রহ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানালেন এই অভিনয়শিল্পী।
অভিনয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অপর্ণার শুরুটা হয় ২০০৬ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে। অভিনয়ে ব্যস্ত থাকলেও সময় বের করেন ঘুরতে। তাঁর মতে, সপ্তাহখানেক কাজ করে হাঁপিয়ে উঠলেই দুই দিনের জন্য হলেও নিজের মতো করে ডুব দিই। ঘুরতে যাই। এরপর আবার চাঙা হয়ে উঠি এবং কাজেও ভীষণরকম আনন্দ পাই। দেশের মধ্যে ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে অপর্ণার প্রিয় জায়গা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি। আর দেশের বাইরে প্রিয় শহর লন্ডন, এই শহরে এরই মধ্যে পাঁচবার বেড়াতে গেছেন তিনি।
অপর্ণা বলেন, ‘অনেকে পরিকল্পনা করে ঘোরাঘুরির জন্য আলাদা টাকা জমায়। আমি আলাদা করে রাখি না। তবে আমার কাছে টাকা এলেই একটা প্ল্যান করি। টাকাপয়সার ব্যাপারে আমি একদম হিসেবি না। কিন্তু ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করি। আমার এক লাখ টাকা জমা হলেই দেখা যায়, নেপাল অথবা ভুটান চলে যাই। আবার কখনো ৩-৪-৫ লাখ টাকা জমা হলো, তখন আমি লন্ডন বা ইউরোপের ট্যুর দিই। টাকা যেভাবে আয় হয়, সেভাবেই চলে প্ল্যান। জামাই যেহেতু জাপানে থাকে, তাই আমার এখন জাপান এক্সপ্লোর করার খুব ইচ্ছা। আবার আমার জামাইসহ সুইজারল্যান্ড ঘুরে বেড়ানোর খুব ইচ্ছা, দুজনেরই খুব পছন্দের দেশ।’
তবে অপর্ণা জানিয়ে রাখলেন, দেশের মধ্যে তাঁর খুব ভালো লাগে কানাডা। দেশটিতে তাঁর স্থায়ী হতেও ইচ্ছা। চকারিসূত্রে তাঁর স্বামী সত্রাজিৎ দত্ত থাকেন জাপানে, তাঁর মতে, জাপান গেলে নাকি অপর্ণার ভালো লাগবে। অপর্ণা বলেন, ‘জাপানে যাওয়ার জন্য আমার জামাই তো লোভ দেখাচ্ছে। ও তো সারাক্ষণ নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করে। ওর কাছে এমন কোনো ক্যামেরা নাই, যা সংগ্রহে নেই। ওর শখ হচ্ছে, নিত্যনতুন ক্যামেরা সংগ্রহ করা, ভিডিও করা। আমি তো মজা করে ওকে বলি, যে পরিমাণ ক্যামেরা তোমার কাছে আছে, আমি ফিল্মই বানিয়ে ফেলতে পারব।’
এরপর সে বলে, ‘আমার তো খালি একটা মডেল দরকার, যে ক্যামেরার সামনে দিয়ে হেঁটে যাবে (হাসি)।’
বিয়ে ও সাংসারিক ব্যস্ততার মাঝে কয়েক মাস অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন অপর্ণা। ১১ অক্টোবরের পর তাঁর শুটিংয়ে ফেরার কথা। এর মধ্যে ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ নামে একটি চলচ্চিত্রের শুটিংও বন্ধ আছে। অপর্ণা বলেন, ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলচ্চিত্রের শুটিং অনেক দিন ধরে বন্ধ আছে। করোনা ও লকডাউনের জন্য এই চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করতে পারছি না আমরা। আমরা সবাই কাজটি শেষ করতে চাই। বারবার শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হলে করোনা আর লকডাউনের কারণে আমরাও ফেডআপ হয়ে আছি।’