ইনামুল হক
ইনামুল হক

সব অভিভাবক একসঙ্গে চলে যাচ্ছে!

দুপুরের খাওয়া শেষ করে চেয়ারেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইনামুল হক। হঠাৎ সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন। তাড়াহুড়া করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকরাইলের একটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে বিনোদন অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।

ইনামুল হক


ফেসবুকে অল্প কথায় চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর লিখেছেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা।’
অভিনয়শিল্পী ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা লিখেছেন, ‘আমি মর্মাহত, হতবাক, কিছুই বলার ভাষা নেই। শান্তিতে থাকুন ইনাম স্যার।

সুবর্ণা মুস্তাফা

আপনার মতো আর কেউ হবে না। লাকি ভাবি, হৃদি এবং প্রৈতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। এই কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার শক্তি আপনাদের দিক।’

নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা

নাট্যকার মাসুম রেজা তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হারানোর পাল্লা অনেক বেশি ভারী হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো হালকারা থেকে যাচ্ছি। খ্যাতিমান নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, একুশে পদকে ভূষিত ড. ইনামুল হক চলে গেলেন। বিদায় ইনাম ভাই। আপনাকে অনেক ভালোবাসতাম।’

অরুণা বিশ্বাস

অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘এই বরেণ্য অভিনেতাকে প্রণাম।’
শাহরিয়ার নাজিম জয় লিখেছেন, ‘স্যার...স্যার...স্যার...কিছুদিন পরে যেতেন। সারা জীবন তাড়াহুড়া করলেন না। যাবার সময়?’

অভিনেত্রী তানভীন সুইটি


অভিনয়শিল্পী তানভীন সুইটি লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় অভিনেতা ড. ইনামুল হক আজ দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন। অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইল আঙ্কেল। কত নাটকে আমার বাবা ছিলেন আপনি। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অপি করিম

অভিনয়শিল্পী শাহনাজ খুশি বলেন, ‘এত এত মৃত্যু আল্লাহ! সব অভিভাবক একসঙ্গে চলে যাচ্ছে! ভাবতে পারছি না কিচ্ছু! সুস্থ মানুষ! কীভাবে কী! তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। আল্লাহ, তুমি তাঁকে শান্তিতে রেখো।’
অভিনয়শিল্পী রওনক হাসান লিখেছেন, ‘আপনিও চলে গেলেন স্যার! শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভালো থাকুন।’

রওনক হাসান


অভিনয়শিল্পী অপি করিম লিখেছেন, ‘শান্তিতে থাকুন স্যার।’
অভিনয়শিল্পী শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘হারাতে হারাতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি আমরা। বিদায় ইনাম স্যার, আপনাকে অনেক ভালোবাসি।’
অভিনয়শিল্পী রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, ‘আমাদের অসম্ভব প্রিয় ভালো মানুষটা আর নেই।’

জাহরা মিতু

‘মীরাক্কেল’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন লিখেছেন, ‘আমাদের অসম্ভব প্রিয় মানুষ আর নেই। দেখা হলে এত সুন্দর করে কথা বলতেন।’
তরুণ চিত্রনায়িকা জাহরা মিতু লিখেছেন, ‘মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কত মনোযোগ দিয়ে আপনার কথা শুনতাম। একবার বলেছিলেন, “এই মেয়ে, ঠিক করে কাজে মন দেবেন। ডিজাইনিংয়ে ফেরত যাবার দরকার নেই। আপনাকে আমাদের মিডিয়ার দরকার। ভালো পড়ালেখা জানা মেয়ের দরকার। শুধু এই জায়গাটাকে ভালোবাসবেন, এই জায়গাটা আপনাকে নিজ থেকেই আপন করে নেবে। মনে থাকবে?” সারা জীবন মনে থাকবে আপনার কথাগুলো। একদম লাইন বাই লাইন মনে থাকবে।’