ফেসবুকে বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের নকল আইডির ঘটনা নতুন না। তারকাদের ফেক আইডিতে ফেসবুকের পাতা ভরা। এসব নকল আইডির কারণে তারকারা প্রায়ই বিব্রত হন। তেমনই অবস্থায় পড়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরীন। তাঁর নামে প্রায় অর্ধশতাধিক ফেক আইডি ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। এর মধ্যে ‘সারিকা সাবরীন’ নামে একটি ফেক আইডি নিয়ে চরম বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন এই নায়িকা।
এই আইডির ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজারের মতো। নিয়মিতই সচলও আইডিটি। শুধু তা–ই নয়, এই আইডিতে বন্ধু তালিকায় আছেন বিনোদন ভুবনের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ অনেক বিনোদন সাংবাদিক। আর এ কারণেই সারিকার আসল আইডি ভেবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সারিকার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এই আইডিতে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া না পেয়ে সারিকার সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে সহশিল্পী ও বন্ধুদের। কিন্তু সারিকা বলছেন অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, প্রায় আড়াই বছর আগে তাঁর আইডি হ্যাক করা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আর ফেসবুকে নেই।
সারিকার আসল আইডি ভেবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সারিকার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এই আইডিতে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া না পেয়ে সারিকার সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে সহশিল্পী ও বন্ধুদের। কিন্তু সারিকা বলছেন অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, প্রায় আড়াই বছর আগে তাঁর আইডি হ্যাক করা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আর ফেসবুকে নেই।
নকল আইডির কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে জানিয়ে সারিকা বলেন, ‘এই আইডিতে ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক বেশি। তা ছাড়া মিডিয়ার অনেক তারকা ও সাংবাদিক এই আইডির বন্ধুতালিকায় আছেন।
এতে অনেকই ভাবেন এটি আমার আসল আইডি। সবাই ওই আইডিতে যোগাযোগ করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে আমাকে ভুল বোঝেন। বিষয়টি আমার জন্য চরম বিব্রতকর। আমি বিচলিত।’ এই আইডির কারণে পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব, সহশিল্পী ও নাটকের পরিচালকদের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝি ঘটেছে। বাদ যায়নি অভিমানের ঘটনাও। এই ঘটনাগুলো এখনো ঘটছে বলে জানান সারিকা। তিনি বললেন, ‘যিনি এই আইডি চালান, তিনি খুবই ধূর্ত। সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দিয়ে আমার ছবি ব্যবহার করেন। নিয়মিত সচল দেখে অনেক সহশিল্পী, পরিচালক ও সাংবাদিক ওই আইডির ইনবক্সে খুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করেন।
কিন্তু মেসেজ সিন হলেও কোনো সাড়া নেই। মেসেজের উত্তর না পেয়ে সবাই ভাবেন আমি ইচ্ছা করে উত্তর দিই না। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে অপদস্থ হতে হয়। তবে এখন নিয়মিত শুটিং করছি।
ওইটা যে নকল আইডি, শুটিংয়ে গেলে সেটে সবাইকে তা জানাচ্ছি। আস্তে আস্তে সবার ভুল ভাঙছে।’ বিষয়টি নিয়ে থানা বা সাইবার ক্রাইম অফিসে অভিযোগ করেননি? এমন প্রশ্নে সারিকা বলেন, ‘আড়াই বছর আগে যখন আইডিটি হ্যাক হয়, তখন মৌখিকভাবে সাইবার ক্রাইম সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের একজন কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম।
এই আইডির কারণে পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব, সহশিল্পী ও নাটকের পরিচালকদের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝি ঘটেছে। বাদ যায়নি অভিমানের ঘটনাও।
এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। সমস্যটা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই ভাবছি থানায় একটি জিডি করব। তা না হলে নকল আইডি থেকে আমাকে ফাঁসিয়েও দিতে পারে।’
এদিকে গত ঈদুল ফিতর থেকে আবার নিয়মিত নাটকে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। জানালেন, এখন মেয়ে বড় হয়েছে। পাঁচ বছর বয়স। তাই শুটিংয়ে সমস্যা হচ্ছে না। নিয়মিত কাজ করতে পারছেন তিনি। ‘মেয়েই আমাকে এখন শুটিংয়ে যেতে উত্সাহিত করে।
শুটিংয়ে যাওয়ার সময় আমাকে বলে “মা তুমি শুটিংয়ে যাও, আমি লক্ষ্মী মেয়ের মতো থাকব।” আগে বয়স কম ছিল, মেয়েকে বাসায় রেখে কাজ করতে টেনশন হতো। এখন সেটা হচ্ছে না। দাদাবাড়ি, নানাবাড়ি, দুই জায়গাতেই এখন সময় কাটায় মেয়ে’, বললেন সারিকা।