নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত ভালো আছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে—এমন গুজব ছড়ানোয় অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন হানিফ সংকেত। আজ বুধবার সকালে এ নিয়ে তিনি প্রথম আলোর কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
‘শোক এবং শ্রদ্ধা, জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “ইত্যাদি”-র উপস্থাপক, প্রযোজক ও নির্মাতা বিশিষ্ট গুণীজন হানিফ সংকেত আজ সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ গতকাল রাতে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ রকম একটি পোস্টের সূত্র ধরেই হানিফ সংকেতের মৃত্যুর গুজব ছড়াতে শুরু করে। অনেকে ঘটনাটি বিশ্বাস করে নিজেরাও ওই পোস্ট কপি করে পোস্ট করতে থাকেন।
টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতের মৃত্যুর গুজবে ব্যথিত হয়েছেন তাঁর ভক্ত ও অনুরাগীরা। ফোনে হানিফ সংকেত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত ব্যথিত। এভাবে না জেনে, নিশ্চিত না হয়ে একজন সুস্থ মানুষকে মেরে ফেলার গুজব মানুষ কীভাবে ছড়ায়? আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো আছি।’
হানিফ সংকেত ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন তিনি। ‘ইত্যাদি’-তে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে নাটিকা, কৌতুক, আশাবাদের গান ও তৃণমূল মানুষের সাফল্য তুলে ধরা হয়। নাটক নির্মাণেও হানিফ সংকেতের সাফল্য রয়েছে। উৎসব ও বিশেষ দিনগুলোয় তাঁর পরিচালনায় নাটকগুলো দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর বানানো জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য। হানিফ সংকেত চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন, লিখেছেন রম্যরচনাও।