‘মিষ্টি কিছু’ নামে নতুন একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করলেন অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ। তিনি অভিনয় করেছেন দুই প্রজন্মের দুই জনপ্রিয় তারকা আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে। ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে ছবিটির শুটিং হয়েছে। ছবিটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন নুহাশ হুমায়ূন।
‘মিষ্টি কিছু’ ছবিটি নওশাবার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, সাধারণত ওটিটির বেশির ভাগ কনটেন্টের গল্প থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার ঘরানার। কিন্তু এই গল্প একেবারেই ভিন্ন। নওশাবা আরও বলেন, ‘আগে এমন কাজ করিনি। নতুন ধরনের এই কাজ আমার কাছে বেশ মজার ছিল। ছবির গল্প ভালো লেগেছে। সহশিল্পীদের সঙ্গে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।’
চঞ্চলের সঙ্গে অভিনয় করলেও আফজাল হোসেনের সঙ্গে এটি প্রথম কাজ নওশাবার। এ কারণে শুটিংয়ের দিনগুলো ছিল তাঁর কাছে বেশি রোমাঞ্চকর। নওশাবা বলেন, তাঁর মা ও খালার কাছে ক্রাশ ছিলেন আফজাল হোসেন। তাঁদের কাছ থেকেই আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফাদের চিনেছেন তিনি। নওশাবা আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম, নাটকে আফজাল ভাই, সুবর্ণা আপাদের দেখে মা ও খালারা চিৎকার দিতেন। আমার মায়ের ক্রাশ ছিলেন আফজাল হোসেন। আর তাঁর সঙ্গেই আমার অভিনয়। এটি আমার জন্য একটি স্বপ্নপূরণ।’
শুটিংয়ে গিয়ে আফজাল হোসেনকে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান নওশাবা। তিনি বলেন, ‘ছোট একটি দৃশ্য। কোনো সংলাপ নেই। তিনি আমাকে অনুসরণ করেন। আমি একটি ফুল তুলব। কিন্তু তাঁর উপস্থিতির কারণে আমার হাত কাঁপছিল। ফুলটাই ঠিকমতো তুলতে পারছিলাম না। তাঁর সামনে ঠিকঠাক করতে পারছি কি না, এসব ভেবে সবকিছু ভুলে যাচ্ছিলাম। তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলাম। আমার অবস্থা দেখে পরিচালক নুহাশ বলেন, “নওশাবা আপা, তোমার কী হয়েছে?” উত্তরে আমি বলেছিলাম, “আমি মনে হয় কেঁদে দেব।” এবার আমার অবস্থা বোঝেন। কারণ, যাঁর কথা মায়ের মুখ থেকে সারা জীবন শুনে এসেছি, তাঁর সঙ্গে আমি অভিনয় করছি। ওই সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়ছিল।’
আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী ও নওশাবা আহমেদ—তিনজনই চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ছবির মাধ্যমে চারুকলার তিন প্রজন্মের তিনজন এক জায়গায় মিলিত হন। নওশাবা জানান, কাজটি করতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আড্ডা, আলোচনায় অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘শুটিংয়ের ফাঁকে আড্ডায় আফজাল ভাই, চঞ্চল ভাইয়ের চারুকলা জীবনের মজার মজার গল্প শুনেছি। পেইন্টিং, আর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিনেমার একাল-সেকালের গল্পও শুনেছি আফজাল ভাইয়ের মুখে। বিশ্বাস করুন, পর্দার বাইরে তাঁদের গল্প, আলোচনার অভিজ্ঞতা আমার কাছে মধুর ছিল। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’