বিয়ে করলেন উপস্থাপিকা ও সংগঠক ফারজানা ব্রাউনিয়া এবং লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। দুজনই বলছেন, তাঁদের উভয়ের পরিবারের সম্মতিতেই এ বিয়ে হয়েছে। এ কারণে দুজনই এ বিয়েকে ফ্যা–ম্যারেজ বা পারিবারিক বিয়ে হিসেবে দেখছেন। যদিও অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তার বিয়ে নিয়ে সেনানিবাসের ভেতরে ও বাইরে নানা আলোচনা রয়েছে।
ব্রাউনিয়া আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমাদের ভালো বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই এ বিয়ে হয়েছে। আমরা দুজন ও আমাদের দুই পরিবারের সবাই একমত হওয়ার পরই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্তে গেছি। তবে আমাদের মধ্যে পরিচয় কাজের সূত্রে। ২০১৫ সালে মিরপুরে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) দুই সপ্তাহব্যাপী ক্যাপস্টোন কোর্স করার সময় সারওয়ার্দীর সঙ্গে পরিচয়। এরপর কাজ করতে গিয়ে সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে দুই পরিবারের মত নিয়ে ৬ নভেম্বর আক্দ আর ১৬ নভেম্বর বিয়ে নিবন্ধন করা হয়।’ ২৬ নভেম্বর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ২০ নভেম্বর তাঁরা সাভার গলফ ক্লাবে যান পাশ্চাত্য শৈলীতে বিয়ের ফটোসেশনে অংশ নেন।
ফারজানা ব্রাউনিয়া এর আগেও বিয়ে করেছিলেন।
ব্রাউনিয়ার সঙ্গে কথার সময় পাশেই ছিলেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। তিনি বললেন, ‘আশা করছি, আমাদের দুজনের পাশাপাশি দুই পরিবারও সুখী হবে।’ তিনি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে মায়ের সঙ্গে বিদেশে থাকেন।
রানা প্লাজা ধসের পর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে উদ্ধারকাজের নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। ২৬ মার্চ ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ আয়োজনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর তিনি আর্টডকের জিওসি ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট হন। সেখান থেকে এ বছরের ১ জুন অবসের যান। এর আগে তিনি আনসার ও ভিডিপি এবং এসএসএফের মহাপরিচালক এবং সেনা গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এখন দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
ফারজানা বাউনিয়া উপস্থাপনার পাশাপাশি নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি স্বর্ণ কিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।