সুইমিংপুলের নীল জলের পাশে আবেদনময়ী আইরিনকে দেখে লোকের চোখ ছানাবড়া। এর আগে এভাবে কখনোই সিনেমাপ্রেমীদের হৃৎস্পন্দন বাড়াননি। র্যাম্প থেকে সিনেমায় গিয়ে যেন সাহসী হয়ে উঠেছেন তিনি। মার্চে অনন্য মামুনের ওয়েব সিরিজ ‘ধোঁকা’র টিজার প্রকাশের পর আলোচনায় আসে আইরিনের নাম। টিজারে তাঁকে বিকিনি পরিহিত দেখে দর্শকেরা হকচকিত। ওয়েব সিরিজে এতটা সাহসী আর কোনো চিত্রনায়িকাকে দেখা যায়নি। এমনকি সিনেমাতেও না।
কেন বিকিনি, কেন ধোঁকা, কেন বালি? প্রশ্নগুলো ছুড়ে দেওয়া হয় আইরিনকে। যে বিকিনি ছিল ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না’র তালিকায়, সেটা গায়ে চড়িয়ে ক্যামেরার সামনে এলেন কীভাবে তিনি? এ প্রশ্নে ভয়ডরহীন আইরিন। কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলছেন, পর্দায় প্রথম আনছেন, দর্শকেরা নড়েচড়ে যাবে, এমন কোনো ভাবনাই নাকি তাঁর ভেতরে কাজ করেনি। চরিত্রের সঙ্গে মানানসই, এটুকু বোঝার পর আর কিছুই তাঁর মাথায় আসেনি।
‘ধোঁকা’য় আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন মেয়ে। এমন একটি মেয়ে, যে কখনো বাংলাদেশে যায়নি। এই মেয়েটির পোশাক-আশাক যেমন হতে পারে, তেমন পোশাক আমি ওয়েব সিরিজে পরেছি। জোর করে কোনো কিছু আমি পরিনি। আমার ওপর কেউ কিছু চাপিয়েও দেয়নি। আইরিন নামে যে চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি, তার সঙ্গে বিকিনিটা যায়। আইরিন মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত। সে যে অন্ধকারের মানুষ, এটা বোঝা যায় না প্রথমে। ধীরে ধীরে দর্শক জানবে। চরিত্রটি ধূসর, নেতিবাচক একটি চরিত্র।’
‘ধোঁকা’র টিজার প্রকাশের পর কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? জানতে চাইলে আইরিন বলেন, ‘আমি ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। কেউ এখন পর্যন্ত মন্দ বলেনি। মিডিয়ার দু-একটি আড্ডায় টিজারের প্রসঙ্গটি উঠেছিল। সেখানে ইতিবাচক সাড়াই পেয়েছি।’ বিকিনির জন্য কেউ তির্যক মন্তব্য করেননি বলেও জানান আইরিন। তিনি মনে করেন, গল্পের প্রয়োজনেই বালি যাওয়া, বিকিনি পরা। কোন কিছুই আরোপিত নয়।
‘ধোঁকা’ আইরিনের দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ। এর আগে তিনি ‘ট্র্যাপড’ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছিলেন। দুটো সিরিজই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চিত্রায়িত হয়, একই সময়ে। গত ঈদুল ফিতরে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘ট্র্যাপড’ প্রচার হয়ে গেছে। ‘ধোঁকা’ প্রচার হবে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাঞ্জুজন, আঁচল ও এ বি এম সুমন।
সুমনের বিপরীতে এটাই আইরিনের প্রথম কাজ। এখানে সুমনকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়। নির্মিতব্য ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন সুমন। এ ধরনের গোয়েন্দাধর্মী ছবির গ্ল্যামারাস নারী চরিত্র পেলে করবেন কি না? জানতে চাইলে আইরিন পাল্টা জানতে চান, ‘কেন করব না?’ অর্থাৎ শুধু ওয়েব সিরিজে নয়, সিনেমাতেও সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে তাঁর।
নতুন কাজ প্রসঙ্গে আইরিন জানান, অনেক কাজেরই কথা হচ্ছে। কিন্তু মনের মতো কাজ মিলছে না। যে জন্য নতুন কোনো সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, শর্টফিল্ম কিছুই করা হচ্ছে না। আপাতত ধোঁকার আলোচনাতেই থাকতে চান ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’–এর নায়িকা।