‘নির্বাচন শেষ, আমরা এখন সবাই এক’

‘আমরা চমৎকার পরিবেশে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। এক দল জিতবে, এক দল হারবে। এটাই স্বাভাবিক।’ বলছিলেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইরেশ যাকের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) নতুন কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ২০২২-২৪ মেয়াদি নতুন কমিটির সভাপতি মনোয়ার পাঠানকে শপথবাক্য পাঠ করান নির্বাচন কমিশনার কামাল বায়েজীদ। এরপর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির বিজয়ী অন্যদের শপথ পড়ান নবনির্বাচিত সভাপতি। ইরেশ যাকের বলেন, ‘নির্বাচন শেষ। আমরা এখন সবাই এক, একই পরিবারের মতো। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। গত কমিটিতে আমার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাজু মুনতাসীর। তিনি গত দুই বছরে বেশ সাংগঠনিক হয়েছেন। নতুন করে আবার একই পদে বিজয়ী হয়েছেন। নিশ্চয়ই নতুন মেয়াদে তিনি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।’ শপথ অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্বও করেন ইরেশ যাকের।

সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার পাঠান ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির

সাধারণ সম্পাদক পদে শপথ নেওয়ার পর সাজু মুনতাসীর বলেন, ‘এবার নিয়ে পরপর দুবার একই পদে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সমিতির সদস্যরা। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি যেন তাঁদের পাশে থেকে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি।’ এই প্রযোজক নেতা আরও বলেন, ‘এই পদে থেকে সমিতির সদস্যদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যাব। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’

শপথ অনুষ্ঠানের পর নতুন কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ডসহ টেলিভিশন নাটক-অনুষ্ঠানসংশ্লিষ্ট সংগঠনের অনেক নেতা–কর্মী। শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বোর্ডের তিন সদস্য ম. হামিদ, কেরামত মাওলা ও তারেক মিন্টু। এ ছাড়া টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সংঘের নেতা মাজনুন মিজান, রাশেদ মামুন, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক নেতা খোরশেদ আলমসহ অনেকে।