ধানখেতের আল ধরে ছুটে বেড়াত শফিক আর আয়েশা। বর্ষাকালে শাপলা ফুলের গয়না দিয়ে জামাই–বউ খেলত। পুতুল খেলার বয়স থেকে যৌবনকালেও সে খেলা থামেনি। তখন থেকেই আয়েশার স্বপ্ন, শফিকের হাত ধরে একদিন তেপান্তরের মাঠ পেরোবে। যৌবনের এই প্রেম তারা বৃদ্ধ বয়সেও চালিয়ে যায়। ভালোবাসার এমন আকুতিভরা গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’।
টেলিছবিতে শফিক ও আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, শিপন মিত্র। তাঁদের বৃদ্ধ বয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সীমান্ত সজল।
টয়া বলেন, ‘গল্পের সময়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগের ও পরের। আমার ভাগে পড়েছে দেশ স্বাধীনের আগে ষাট দশকের প্রেক্ষাপট। সময়টাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে অনেক পরিকল্পনা করতে হয়েছে। কাজটা করে ভালো লেগেছে। আশা করি, দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে।’ শিপন মিত্র বলেন, ‘গল্পটা শুনে আমার ভালো লেগেছে। শুটিং শুরু হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম নিজের মধ্যে চরিত্রটি ধারণ করে নিজেকে তৈরি করার জন্য। কো–আর্টিস্ট হিসেবে টয়া অনেক ভালো। আবুল হায়াতের যৌবনকালের চরিত্রটা আমি করেছি।’
সীমান্ত সজল বলেন, ‘“তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে” আমার অনেক যত্ন, অনেক ভালো লাগা, ভালোবাসার কাজ। স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়ে রাতে আমি যেমন কেঁদেছি, শুটিং করতে গিয়েও মনিটরের সামনে কেঁদেছি। আশা করি, টেলিফিল্মটি দেখতে গিয়ে দর্শকও চোখের জলে ভাসবেন।’
শুক্রবার বিকেল তিনটায় চ্যানেল আইয়ে দেখানো হবে টেলিছবিটি।