ঘরের চারদিকে পুরোনো পোস্টার। আড়াআড়ি দড়ি টানানো। স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে পুরোনো বস্তা এলোমেলো ছড়িয়ে আছে। মেঝেতে একটি কলস ও গ্লাস। পুরোনো একটি আলনায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা জামাকাপড়। দেখে কারও মনে হতে পারে, বস্তি এলাকার কোনো ঘরের ভেতর ঢুকে গেছেন। দেখতে একদম বস্তির কোনো ঘর মনে হলেও শুটিংয়ের জন্য ঘরটি সাজানো হয়েছে দালানের মধ্যে।
বস্তির দৃশ্যগুলো সচরাচর ঢাকার বিভিন্ন বস্তির মধ্যেই শুটিং করা হয়। এবারও কিছু অংশের শুটিং করাইল বস্তিতে করা হয়েছে। ধারাবাহিক নাটকটির নাম মাশরাফি জুনিয়র। নাটকের নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন বলেন, ‘বস্তির মধ্যে ঘোরাঘুরি, দরজা দিয়ে বের হওয়া, দরজার বাইরে কথা বলার দৃশ্যগুলো করাইল বস্তিতে শুটিং করা। আমাদের শুটিংটা এমনভাবে করা যে শুধু বস্তির রুমটা দালানের মধ্য করা, দরজা খুললেই বস্তি। এটা এডিটিংয়ের সময় বোঝা যাবে না। আমরা বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দালানের রুমে বস্তির শুটিং করা প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘বস্তির ঘরগুলো অনেক ছোট, ক্যামেরা চালানো যায় না। লাইট বসানো যায় না। ঘরগুলো অনেক নিচু থাকে। আর প্রচুর লোকজন জড়ো হতে থাকে। শব্দে শুটিং করা যায় না। অনেক সময় শুটিংয়ের জন্য বস্তিতে পছন্দমতো ঘরও পাওয়া যায় না। পেলেও এসব কারণে অনেক সময় মূল শুটিংটাই ঠিকমতো হয় না। যে কারণে আমাদের শুটিং হাউসে বস্তির ঘর সাজিয়েছি। এখানে আরাম করে শুটিং করা যায়।’
মাশরাফি জুনিয়র ধারাবাহিকটি সম্প্রতি ৩২৭ পর্ব প্রচারিত হয়েছে। মেগা এই ধারাবাহিকের এক হাজার পর্ব প্রচারের লক্ষ্যে শুটিং চলছে। আহমেদ খানের গল্পে নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন আসফিদুল হক। সংলাপ লিখেছেন মো. মারুফ হাসান। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাফানা নমনি, অনিন্দ, হামিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ডা. এজাজ, ফজলুর রহমান বাবু, রুনা খান, লুৎফর রহমান জর্জ, শিশু চৌধুরী, আইরিন আফরোজ, মাইমুনা ফেরদৌসসহ অনেকে।