ঢাকায় টেলিভিশন নাটকের শুটিং চলছে হরদম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকার উত্তরা, ঢাকার অদূরে পুবাইলসহ বিভিন্ন লোকেশনে শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন তারকারা। এবার ঢাকার বাইরেও শুরু হয়েছে শুটিং। তবে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে শুটিং ইউনিটে রাখা হচ্ছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
‘ঢাকার বাইরের শুটিং নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। চরফ্যাশনের একটি গ্রামে শুটিং হয়। প্রকৃতির মধ্যে কিছু ভালো সময় কেটেছে। কিছুটা অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছি।’মৌসুমী হামিদ, অভিনেত্রী
গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ ছিল টেলিভিশন নাটকের শুটিং। মে মাস থেকেই শুটিং করার অনুমতি মেলে। ঢাকায় শুরু হলেও ঢাকার বাইরে শুরু হতে একটু বিলম্ব হয়। তবে এখন পরিচালকেরা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যাচ্ছেন।
প্রায় ছয় মাস পরে ঢাকার বাইরে ভোলা জেলার চরফ্যাশনে শুটিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ; করোনার কারণে ঢাকার বাইরে যেতে যদিও ভয় ছিল তাঁর। মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘ঢাকার বাইরের শুটিং নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। চরফ্যাশনের একটি গ্রামে শুটিং হয়। প্রকৃতির মধ্যে কিছু ভালো সময় কেটেছে। কিছুটা অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছি।’
এক ঘণ্টার একটি নাটক পরিচালনা করেছেন সাইদুর রহমান। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, শতাব্দী ওয়াদুদ, দীপা খন্দকার প্রমুখ।
‘এত দূর আসা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আসার পরে মনে হচ্ছে ভালো করেছি। কারণ, ঢাকায় যেভাবে আমরা ছোট জায়গায় শুটিং করি, তার থেকে এখানে বড় জায়গায় শুটিং করে স্বস্তি পাচ্ছি।’সৈয়দ শাকিল, নির্মাতা
গত ২০ আগস্ট থেকে বান্দরবানে শুটিং হয় নির্মাতা সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় আনন্দভ্রমণ ধারাবাহিকের। তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক সব নিয়ম মেনেই জীবিকার প্রয়োজনে কাজে এসেছি। এত দূর আসা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আসার পরে মনে হচ্ছে ভালো করেছি। কারণ, ঢাকায় যেভাবে আমরা ছোট জায়গায় শুটিং করি, তার থেকে এখানে বড় জায়গায় শুটিং করে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।’
আনন্দভ্রমণ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন এফ এস নাইম। তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরে অনেক দিন পরে কাজ করতে এসে মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। কিছুটা ভয় লাগলেও ভালো লাগাটা বেশি। শুটিং শেষে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। অনেক দিন পর মুক্ত বাতাসে প্রশান্তি খুঁজে পেলাম।’
ধারাবাহিকটিতে আরও অভিনয় করেছেন ডা. এজাজ, আইরিন আফরোজ, আ খ ম হাসান, সাজু খাদেম প্রমুখ। টিভি প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির বলেন, ‘সংগঠন থেকে আমরা চাইছি নিরাপত্তা নিয়ে আগের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত শুটিং হোক। মানুষ ঘরে বসে ঢাকার বাইরের গল্প দেখার কিছুটা সুযোগ পাবে।’
অনেকেই গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট ও কক্সবাজারে শুটিং করছেন। তারকারাও এখন নতুন স্বাভাবিকে ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যেতে আগ্রহী। তবে শর্ত একটাই—প্রতিটি ইউনিটে যেন সম্পূর্ণ নিরাপত্তার প্রস্তুতি থাকে।