চরকির প্রযোজনায় মিজানুর রহমান আরিয়ানের নেটওয়ার্কের বাইরে ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি। শেষ করেছেন মেজবাউর রহমান সুমনের হাওয়ার ডাবিং। বর্তমান কাজসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি।
‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ একটু অন্য রকম ফিল্ম। দর্শকের কেমন লাগবে বলে মনে হচ্ছে?
প্রথমত, কাজটি খুবই গুছিয়ে করা। এমন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো লেগেছে। যদিও আমাকে ছোট একটি চরিত্রে দেখা যাবে। আশা করছি দর্শকদের গল্পটি ভালো লাগবে।
‘দ্য ডার্ক সাইট অব ঢাকা’ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সেখানে আমি নেতিবাচক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। নির্মাতার কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। মুক্তির পর এত প্রশংসা পাব ভাবিনি। কাজটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বুঝতে পারছি, দর্শক অনলাইনমুখী হচ্ছেন।
কয়েকটি দৃশ্যে আপনাকে গালিগালাজ করতে দেখা গেছে। এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পেলেন?
চরিত্রের প্রয়োজনে কিছু অকথ্য শব্দ ব্যবহার করছি। বন্ধুদের অনেকে ভালো–মন্দ বলেছে। চরিত্রটাই এমন যে বির্তক কিছুটা থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে আমি ওই চরিত্রের একদম উল্টো। খুবই সাটামাটা একটি মেয়ে, চুপচাপ থাকি, সাধারণ ভাবনাচিন্তা করি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই, ফেসবুক চালাই আর ভালো একটি সিনেমার প্রতীক্ষায় থাকি।
বাস্তবে আমি ওই চরিত্রের একদম উল্টো। খুবই সাটামাটা একটি মেয়ে, চুপচাপ থাকি, সাধারণ ভাবনাচিন্তা করি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই, ফেসবুক চালাই আর ভালো একটি সিনেমার প্রতীক্ষায় থাকি
ভালো সিনেমার প্রতীক্ষায় কাজ তেমন করা হয়নি আপনার। এত অল্প কাজ, এ আয়ে চলতে পারেন?
পারি না, তবে চেষ্টা করি। আমার যে কাজটা করতে ইচ্ছে হয়, সেটাই করি। গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিনয়ের সঙ্গে ‘না’ বলি। সহকর্মীরা অনেকেই দেখি বাধ্য হয়ে ছাড় দিয়ে অভিনয় করেন। সংসারের জন্য আর্থিক সাপোর্ট অবশ্যই দরকার। মান বিচার করে কাজ করলে সেই আয়ে কোনোভাবেই জীবন যাপন করা সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে আমার পরিবার অনেক সহযোগিতা করে।
প্রথম সিনেমার শুটিংয়ের সময়েও পরিবারের লোকেরা আপনাকে শুটিংস্পটে পৌঁছে দিতেন। এখনো কি কেউ যান?
তখন আমার পরিবার মনে করত আমি অনেক ছোট, সে জন্য সব সময় আলাদা কেয়ার করত। এখন তারা মনে করে আমি অনেক বড় হয়ে গেছি। আমার এখন নিজের মতো করে চলতেই ভালো লাগে।
সিনেমা আমার জীবন। সিনেমাই আমাকে সবেচেয়ে বেশি টানে। শৈশবে সিনেমার প্রেমে পড়েছি। ভালো একটি সিনেমার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষাতেও আমার আপত্তি নেই।নাজিফা তুষি
টেলিভিশন, সিনেমা, ওয়েব—তিন মাধ্যমেই কাজের অভিজ্ঞতা হলো। কোন মাধ্যমের কাজ বেশি টানে?
সিনেমা আমার জীবন। সিনেমাই আমাকে সবেচেয়ে বেশি টানে। শৈশবে সিনেমার প্রেমে পড়েছি। ভালো একটি সিনেমার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষাতেও আমার আপত্তি নেই।
প্রেম বা বিয়ে নিয়ে ভাবনা কী?
প্রেম প্রতিটা মানুষের জীবনেই থাকে। প্রেম ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আপতত বিয়ে নিয়ে আমার ভাবনা নেই।