‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২০’-এর খসড়া অনুমোদিত হয় গত বছর। এটি পাস হওয়ার অপেক্ষায়। আইনটির সংশোধন চেয়েছেন টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা। ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পীদের দাবি, কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে চলচ্চিত্রের সঙ্গে ‘টেলিভিশন’ও যুক্ত করা হোক।
১০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা। বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে বাড়তি ফি নির্ধারণ করে সম্প্রতি একটি নীতিমালা সংশোধন করা হয়। নীতিমালাটি সংশোধন করায় মন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নাটক ও চলচ্চিত্র সংগঠনের নেতারা। সেখানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিদেশি অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন নির্মাণে বাড়তি ফি নির্ধারণ একটি ভালো উদ্যোগ। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও শিল্পী রক্ষায় এ সংশোধনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে তিনি মনে করেন।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘শিল্পীদের পক্ষে সরকার সব সময় কাজ করছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের দীর্ঘ দিনের দাবি, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ দাবি জানিয়ে এসেছি। গত বছর চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। সেটা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাস হওয়ার অপেক্ষায়। আমরা মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি, এই একই কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে আমাদেরও যুক্ত করা হোক। এ মুহূর্তে আলাদা করে ট্রাস্ট গঠন করা সময়সাপেক্ষ। “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন”-এ শুধু “টেলিভিশন” শব্দটা যোগ করলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত সুবিধাটা পেতাম।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের কথা মন্ত্রী মহোদয় শুনেছেন। কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আগে থেকে কথা বলেছি। বিষয়টিকে সংশ্লিষ্টজনেরা গুরুত্ব দেবেন বলে আশা করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিল্পীদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে। আমাদের জন্য এমন একটি ট্রাস্ট দরকার অথবা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত করলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। শিল্পীদের একটি আস্থার জায়গা হবে।’