গল্পের প্রয়োজনে প্রচুর তরমুজ খেতে হচ্ছে জাহিদ হাসানকে

নাটকে তরমুজ নিয়ে ঘুরতে দেখা যাবে জাহিদ হাসানকে। ছবি: সংগৃহীত।
নাটকে তরমুজ নিয়ে ঘুরতে দেখা যাবে জাহিদ হাসানকে। ছবি: সংগৃহীত।

জাহিদ হাসান তরমুজ খাবেন। অসময়ে কোথায় পাওয়া যাবে তরমুজ! কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার তন্নতন্ন করে খুঁজে আনা হয়েছে ৪০টি তরমুজ। সেখান থেকে কিছু তরমুজ স্যানিটাইজ করে খেয়েছেন অভিনেতা জাহিদ হাসান।

অভিনেতা জাহিদ হাসান তরমুজ খাবেন নাটকের গল্পে। প্রথম দিনের শুটিংয়ে প্রায় ১০টি তরমুজ খেতে হয়েছে এই তারকাকে। কালো গফুর ও সুন্দরী জুলির প্রেমের গল্প নিয়ে সেই নাটকের নাম ‘গফুর কাকার তরমুজ’। গফুর চরিত্রে অভিনয় করছেন জাহিদ হাসান। এই নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কালো মেকআপ নিয়ে অভিনয় করছি। আমাদের একটা ধারণা আছে, গায়ের রং কালো হলে তরমুজ খেতে হয়। যে কারণে গল্পের প্রয়োজনে আমাকে প্রচুর তরমুজ খেতে হচ্ছে। একটি মেয়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমি বেশির ভাগ সময় তরমুজ খাই। সঙ্গে তরমুজ নিয়েও ঘুরি।’

করোনার এই সময়ে তরমুজ কেনা, কাটা ও খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে নাটকের পুরো দলটিকে। অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি বলেন, ‘গল্পে তরমুজ থাকার কারণে একটা দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। সেটা হাত দিয়ে ধরতে হবে, কাটতে ও খেতে হবে! কোথায় থেকে কেনা, ভাইরাস আছে কি না, সেসবও ভাবতে হয়। এ জন্য বাসা থেকে আলাদা চাকু নিয়ে এসেছিলাম। নিজে হাতে তরমুজ ধুয়ে, নিজেই কেটেছি।’ একইভাবে তরমুজ খাওয়া নিয়ে সতর্ক ছিলেন জাহিদ হাসানও। নিজের গাড়িচালক সজলকে বাড়ি থেকে চাকু নিয়ে আসতে বলেছিলেন। তিনি সেই চাকু দিয়ে তরমুজ স্যানিটাইজ করে কেটেছেন। দৃশ্য ধারণের সময় সেগুলো খেয়েছেন জাহিদ হাসান।

নাটকের দৃশ্যে অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি অভিনেতা জাহিদ হাসানকে তরমুজ খাইয়ে দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত।

নাটকটির নির্মাতা হিমু আকরাম বলেন, ‘জাহিদ ভাইয়ের পুরো মুখ, গলা, হাত সবকিছু কালো করা হয়েছিল। সানজিদা প্রীতি জাহিদ ভাইকে যতবারই তরমুজ খাওয়াতে যান, ততবারই তরমুজের রস ভাইয়ের নাক ও গালে লেগে মেকআপ উঠে যাচ্ছিল। যে কারণে বারবার মেকআপ ঠিক করে শুটিং করতে হয়েছে। আগে বুঝতে পারিনি করোনার এই সময়ে এই গল্প নিয়ে কাজ করতে এত ঝামেলা হবে।’
তরমুজ খাওয়া নিয়ে জাহিদ হাসানের বাস্তব নানা অভিজ্ঞতার ঘটনা এই নাটকে দেখা যাবে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন ড. এজাজ, ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।