২০২১ সালে বাংলাদেশে নির্মিত সীমিতদৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্রের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেসবের মধ্যে থেকে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার–২০২১–এর জন্য সমালোচকেরা বেছে নিয়েছেন কয়েকজন সেরা চিত্রনাট্যকার ও নির্দেশককে। চূড়ান্ত পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া এই নাট্যকার ও নির্দেশকেরা জানালেন নিজেদের প্রতিক্রিয়া।
সমালোচকের চোখে সেরা চিত্রনাট্যকার
কিসলু গোলাম হায়দার (লাবণী)
‘লাবণী’ আমার লেখা প্রথম চিত্রনাট্য, যেটা প্রচার হয়েছে। আমাকে এই মনোনয়ন আরও ভালো কাজ করার, আরও ভালো লেখার উৎসাহ দিচ্ছে। আমি মেরিল-প্রথম আলো জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই আমার সামান্য পরিশ্রমকে এমন মর্যাদা দেওয়ার জন্য। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
ভিকি জাহেদ (ভুলজন্ম)
এটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের প্রথম মনোনয়ন আমার। অনুভূতিটা খুবই আনন্দের। ভুলজন্ম নাটকটি আমার ও আমার টিমের খুব পছন্দের একটি কাজ। ধন্যবাদ জানাই বিচারকদের এই কাজের জন্য আমাকে মনোনীত করেছেন। ছোটবেলা থেকে এই অনুষ্ঠানের ভক্ত আমি। তখন খুব চাইতাম মাহফুজ ভাই যেন সেরা টিভি অভিনেতার পুরস্কার পান। মজার ব্যাপার, প্রতিবছর যে পুরস্কারের জন্য অপেক্ষা করতাম, সেই পুরস্কারে আমি নিজে আজ মনোনয়ন পেয়েছি। সত্যি অনেক আনন্দিত। পাশাপাশি অভিনন্দন আরও যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, সবাইকে।
মারুফ হোসেন (বিলোপ)
খবরটা শোনার পর থেকেই একটা উৎসব উৎসব আনন্দে আছি। ছোটবেলা থেকে মেরিল–প্রথম আলো দেখে বড় হয়েছি। প্রতিবছরই মেরিল–প্রথম আলো নিয়ে আমার আগ্রহ থাকে। অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রির সব তারকার মিলনমেলা দেখা যায়। প্রথমবারের মতো এই উৎসবের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারছি, এটা অনেক বেশি আনন্দের। ভালো চিত্রনাট্য লেখার চেষ্টা এখন আরও বেড়ে যাবে। ধন্যবাদ বিলোপ পরিবারের সবাইকে এবং ধন্যবাদ মেরিল–প্রথম আলো পরিবারকে।
সমালোচকের চোখে সেরা নির্দেশক
ইমরাউল রাফাত (তিথির অসুখ)
মনোনয়ন পাওয়ার খবরটি আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। আমার সহকারীরা এই কাজ জমা দিয়েছিলেন, যা আমার জানা ছিল না। তাই মনোনয়নের খবর শুনে আমি সারপ্রাইজড হয়ে যাই। আমাদের পরিচালকদের জন্য এই একটি বিভাগই রয়েছে সমালোচক পুরস্কার। যেখানে মনোনীত হয়ে অনেক ভালো লাগছে, বলা চলে আমি অনেক এক্সাইটেড। কারণ, এটা আমার প্রথম মনোনয়ন। আরও ভালো লাগছে আমার প্রিয় একটি কাজের জন্য আমি এই মনোনয়ন পেয়েছি। ধন্যবাদ যাঁরা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাঁদের।
কিসলু গোলাম হায়দার (লাবণী)
আমি আশা করিনি। কারণ, লাবণীর মেকিং নিয়ে আমি খুব একটা স্যাটিসফায়েড ছিলাম না। কিন্তু যখন পত্রিকায় আমার নাম দেখলাম, আমার হালকা গুজবাম্প হয়েছিল। আমি আমার পাশে বসা বন্ধুদের নিউজটা দেখানোর লোভ সামলাতে পারিনি। আমি মেরিল–প্রথম আলো জুরিবোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমার এই চেষ্টাকে ওনারা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। এতে করে আরও আরও কাজ করার উৎসাহ বাড়ল আমার।
মারুফ হোসেন (আঁধারি)
মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর থেকেই বরফ হয়ে আছি। মেরিল–প্রথম আলো মানেই আমার কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার। বাংলাদেশের নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতির জায়গা। আঁধারি আমার তৃতীয় কাজ, পথচলা মাত্র শুরু। শুরু থেকেই ভালো কাজ করার চেষ্টাই করছি, মেরিল–প্রথম আলোর এ অনুপ্রেরণা আরও শক্তি দেবে, আরও ভালো কাজ করতে উদ্বুব্ধ করবে। এখন থেকে হয়তো দায়িত্ব আরও বাড়বে। ধন্যবাদ জুরিবোর্ডের শ্রদ্ধেয়দের। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল মেরিল–প্রথম আলো পরিবারের জন্য।