উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর বিয়ে হয়ে যায় নাদিয়ার। আদরে বড় হওয়া নাদিয়া শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কঠিন বাস্তবতা বুঝতে শুরু করেন। কিন্তু আর পাঁচটা মেয়ের মতো সংসারের নিয়মে অভ্যস্ত না হয়ে, হয়ে উঠেছেন একজন ফ্রিল্যান্সার। সফল ফ্রিল্যান্সার। প্রতিকূল পরিবেশকে তোয়াক্কা না করে নাদিয়া ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। একজন নারী কীভাবে জীবনসংগ্রাম করে নিজেকে বদলেছেন, এটি ‘ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’ টেলিছবির গল্পে দেখা যাবে। গল্পটি একটি বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে লেখা।
নাদিয়া চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন মেহজাবীন চৌধুরী। তিনি জানান, দুই বছর আগে কাজটি করার কথা হয়েছিল। সে সময় এক দিন শুটিংও করেছিলেন তিনি।
পরে করোনার কারণে আটকে যায়। বছরখানেক আগে আরেকবার উদ্যোগ নিয়েও কাজটি করা যায়নি। মেহজাবীন বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বারের বেলায় কাজটি শেষ করতে যাচ্ছি। আর এক দিন শুটিং করলে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
এই অভিনেত্রী জানান, দুই বছর আগে যখন উপন্যাসটি পড়ার সুযোগ হয়েছে, তখনই চরিত্রটি পছন্দ হয়েছিল তাঁর। চরিত্রটি করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে শুটিং লোকেশন থেকে মেহজাবীন বলেন, ‘বাস্তব জীবনে গ্রাম থেকে শহরে উঠে আসা একজন নারী নাদিয়া। দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে সংগ্রাম করেও এগিয়ে যাওয়ার যে প্রত্যয় তার, আমি মনে করি, আমাদের নারীদের একজন আদর্শ তিনি। আমি নিজেও একজন নারী। এমন সংগ্রামী সফল নারীর চরিত্রটি করতে পেরে নিজের কাছে সত্যিই ভালো লাগছে।’
মানিকগঞ্জের একটি গ্রামে শুটিং চলছে টেলিছবিটির। মেহজাবীন বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরে আসা সংগ্রামের একটা গল্প আছে নাদিয়ার। আমরা ইচ্ছা করলেই ঢাকার আশপাশে সেট ফেলে করে নিতে পারতাম। কিন্তু না, করিনি। সংগ্রাম, কষ্টকে অনুভব করে কাজটি করার জন্যই গ্রামে এসেছি। গ্রামের সেই নাদিয়ার সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছি।’
‘ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’ লিখেছেন রাহিতুল ইসলাম। পরিচালনা করছেন ইমরাউল রাফাত। আরও অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দীপ, শামীমা নাজনীনসহ অনেকে। এর বিশেষ একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।