বেশ কিছুদিন ধরেই ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম কলকাতায় আছেন। ব্যক্তিগত কাজ শেষে গত মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু লকডাউনের জন্য তাঁদের ফেরা পিছিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আরও কিছুদিন কলকাতাতেই থাকতে হবে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁই। ঈদের আগে ফেরার কথা থাকলেও তাঁর শুটিংয়ের ইচ্ছা নেই।
প্রতি ঈদের আগে শতাধিক চিত্রনাট্য হাতে পান মোশাররফ করিম। তার মধ্যে বাছবিচার করে চার ভাগের এক ভাগ নাটকের গল্পে অভিনয় করেন। এই নাটকগুলো নিয়ে সব সময়ই তাঁর আগ্রহ থাকে। টানা চাঁদরাত পর্যন্ত শুটিং করতে হয়। তবে গত দুই ঈদুল ফিতরের ঘটছে ব্যতিক্রম ঘটনা। গতবার লকডাউনের শুটিং স্থগিত ছিল। এবার তিনি রয়েছেন কলকাতায়। এই অভিনেতা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি প্রথম দিকে ভালো থাকায় আগে থেকেই অনেকগুলো নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে কথা হয়েছিল। এবার কলকাতায় থাকায় শুটিং স্থগিত করতে হয়েছে। কাজগুলো মিস করছি। আবার ভাবছি, দেশে থাকলেও সেগুলো করতাম কি না, জানি না। কারণ, দেশে এই সময়ে অনেকেই শুটিং করছেন না। শুটিংয়ে করোনা নিয়ে ঝুঁকি থেকেই যায়। ৯ মে দেশে ফিরতে পারি। হয়তো ঈদের আগে এবারও শুটিং না-ও করতে পারি। এখন কলকাতাতে রয়েছি। এখানেও ঘরবন্দী অবস্থায় কেটে যাচ্ছে। করোনা নিয়ে একটা ভয় আছে। তবে সতর্ক আছি।’
ক্যারিয়ারের এক যুগ বেশি সময় পর অবসর সময়গুলো পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, ঈদের আগে টানা শুটিং থাকায় ফিরতে হতো গভীর রাতে, আবার শুটিং যেতে হতো সকালে। ব্যস্ততায় পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা হতো না ঠিকমতো। ঈদের নামাজ পড়ে ঘুমেই কেটে যেত দিনগুলো। সময় বুঝে ছুটতেন গ্রামের বাড়ি। এবার করোনা পরিস্থিতি ওপর নির্ভর করছে বরিশালে যাওয়া। এবার ঈদের কী ধরনের গল্পে গুরুত্ব দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই ঈদের কাজগুলো শুরু করেছিলাম। কমেডি, রোমান্টিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্পকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমার আরও বেশ কিছু পছন্দের গল্পে অভিনয়ের কথা ছিল। সেগুলোর শুটিং স্থগিত করতে হয়েছে।’ আবার কবে শুটিংয়ে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বুঝেই তিনি শুটিংয়ে ফিরব। তবে তিনি ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করব না।’
সারা বছর শুটিং করলেও ঈদের কাজে থাকে বাড়তি যত্ন। মোশাররফ করিম এই সময়ে কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করেন না। সময়টা টানা ঈদের নাটকে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিবার ঈদে মোশাররফ করিম অভিনীত একাধিক নাটক প্রচারিত হয়। এবার ঈদে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘যমজ-১৪’, ‘সীমার’, ‘সাদা মানুষ’, ‘বিজ্ঞাপন’, ‘হাবিবুল ও একটি ভয়ংকর প্রেম’,’সহ ২০টির মতো নাটক প্রচারিত হবে।