স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে টেলিভিশন নাটকের শুটিং। কিন্তু একাধিক অভিনয়শিল্পীর মত, এখনই শুটিংয়ে নেমে পড়া নয়, আগে পর্যবেক্ষণ। পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তবেই শুটিংয়ে নামবেন তাঁরা।
অপূর্ব, আফরান নিশো, শবনম ফারিয়া, মেহ্জাবীন চৌধুরী, তানজিন তিশারা এই দলের অভিনয়শিল্পী। তাঁদের মতে, দিন দিন করোনো সংক্রমণ বেড়ে চলছে। এই সময়ে পরিবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখনই শুটিংয়ে নেমে পড়লে সামান্য ভুলের জন্য বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে। আগে জীবন, তারপর শুটিং। প্রয়োজনে আরও এক মাস কিংবা দুই মাস পর শুটিংয়ে নামা যেতে পারে।
অনুমতি মিললেও এখনই শুটিংয়ের শিডিউল দিচ্ছেন না অপূর্ব। তিনি বলেন, 'জীবনযাপনের জন্য হয়তো অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে অনেকে কাজ শুরু করবেন। তাঁদের কাজগুলো দেখব। কাজগুলো মনঃপূত হচ্ছে কি না, কতটুকু নিরাপদে থেকে কাজ করা যাচ্ছে, এসব বিষয় দেখেই কাজের সিদ্ধান্ত নেব। তবে এখনই কাজ করছি না।'
অপূর্ব জানান, পরিস্থিতি বুঝে যদি কাজ শুরু করার সুযোগ থাকে, তাহলে আগেই পরিচালককে জানানো হবে। ইউনিটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলে শুটিংয়ে যাবেন। গিয়ে সেই পরিবেশ না পেলে শুটিং থেকে চলে আসবেন। কারণ, পরবর্তীকালে যাতে পরিচালক কোনো অভিযোগ করতে না পারেন।
শুটিং না করার দলে আছেন আফরান নিশোও। তিনি বলেন, 'দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আমি এখনো নিরাপদ অনুভব করছি না। তাই আগামী এক মাস শুটিংয়ের বিষয়টি মাথায়ই আনছি না। সমিতিগুলো যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে কতটুকু সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে, সেগুলো দেখার বিষয় আছে।'
মায়ের জন্য অন্তত আগামী এক মাস শুটিংয়ের কথা ভাবছেন না শবনম ফারিয়া। তিনি বলেন, 'আমার মায়ের বয়স হয়েছে। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। আছে ডায়াবেটিস। এ ছাড়া আমারও ডায়াবেটিস আছে। এই সব রোগী করোনার জন্য খুবই ভয়ংকর। তাই আগামী এক মাস কোনো শুটিং করব না। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, প্রয়োজন হলে দুই মাস কোনো শুটিং করব না। সময় নেব। এই মুহূর্তে আমি শুটিংয়ে অংশ নিলে আমার মায়ের জীবনের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।'
এখনই কোনো শিডিউল দিচ্ছেন না মেহ্জাবীন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'অনেকেই শিডিউলের জন্য ফোন দিচ্ছেন। কিন্তু এখনই কোনো শুটিংয়ের শিডিউল দিচ্ছি না। কবে শুটিং করব, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। এক মাসও হতে পারে আবার তার আগেও হতে পারে। তবে দিন দিন করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ঠিক এ সময়ে বের হয়ে শুটিং ইউনিটে গেলে আমারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই পরিস্থিতি দেখি, বুঝি। তবে যদি সংক্রমণের সংখ্যা কমে আসে, তাহলে তাড়াতাড়িই ফিরব শুটিংয়ে।'
অভিনেত্রী তানজিন তিশা বলেন, 'এই ভয়াবহতার মধ্যে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। কারণ, পরিবারের প্রতি আমি যত্নশীল। আমার কারণে পরিবারের ক্ষতি হতে দিতে পারি