শাহনাজ খুশি স্মৃতির জানালা খুলে ছোটবেলার ঈদের গল্প ভাগ করেছেন ভক্তদের সঙ্গে। জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ঈদের চার-পাঁচ দিন দিন আগে তাঁদের খুদু কাকার দোকানে কাপড় দেখে দিয়ে আসতেন। তারপর বলতেন, ‘যাও সবাই, জামার মাপ দিয়ে আসো।’ কোনো পছন্দের অপশন ছিল না। ভাইবোন সবাই একই প্রিন্টের বা একই রঙের ঈদের কাপড় পরতেন। সেই মাপ দিয়ে এসে তাঁরা সকালে-বিকেলে দর্জিবাড়ি হানা দিতেন।
শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘সে বয়সে সুখী মানুষের সংজ্ঞা ছিল, ঈদে ইচ্ছামতো জামা-জুতাসহ কমপ্লিট একটা ড্রেস। প্রত্যেক বয়সেই এমন করে সুখের সংজ্ঞা বদলেছে, আজও বদলায়। চাঁদরাতে আব্বা নতুন জামা এনে ভাগ করে দিত। জামা হাতে পাওয়ার পর যে আনন্দ হতো, তাতে রাতের আঁধার বদলে সূর্যোদয় করে দিতে ইচ্ছা করত। বালিশের নিচে জামা রেখে সারা রাত ছটফট করতাম। ভোরে অন্ধকার থাকতে থাকতেই উঠে যেতাম। আমরা সব পিঠাপিঠি ভাইবোন, বন্ধুরাসহ রাস্তা দিয়ে ঘুরতাম। গান করতাম, ঈদের কবিতা বলতাম।’
ঈদের সকালে নতুন সাবান হাতে পুকুর ঘাটে দৌড় দিতেন ছোট্ট শাহনাজ খুশি। তিব্বত বা কসকো সাবানে চুল ধুয়ে গোসল করে নতুন কাপড় পরে তৈরি হতেন। ঈদের সকালে খেতেন জরদা, সেমাই আর ঝোল মুরগির মাংস দিয়ে চালের আটার রুটি। সকালে নামাজে বের হওয়ার আগেই সালামি পর্ব চলত। সবাই এক উঠোনে দাঁড়িয়ে সবাইকে সালাম করত। ওই সালামির টাকা ছিল স্বর্গসুখ!
এখনকার ঈদের দিনে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে কান্না পায় শাহনাজ খুশির। কোথায় যে হারিয়ে গেল সেসব দিন!
এবার ঈদে ‘বায়ুচড়া’, ‘খঁচাই’,‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেনো’, ‘পিলিয়ার’ প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেছেন শাহনাজ খুশি।