দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বা ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়েই প্রথম আলোর আয়োজন ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে।
পূর্ণিমা: এখন কি বাবু ডাকব?
চঞ্চল চৌধুরী: ডাকতে পারো কোনো সমস্যা নাই। ( দুজনের অট্টহাসি)
হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানের পূর্ণিমা আর চঞ্চল চৌধুরীর পর্বের শুরুটা ছিল এমন। আড্ডার শুরুতে ‘বাবু’ ডাকার রহস্য উন্মোচন করে দিলেন চঞ্চল। ‘আমরা দুজন মিলে বড় একটা প্রজেক্টে কাজ করেছিলাম। তখন ফান করে বলতে বলতে হয়ে যায়।’
পূর্ণিমা: আমাদের বাবু কিন্তু খাইছো টাইপের না। আমাদের বাবু অন্য রকম।
পূর্ণিমা ও চঞ্চল চৌধুরী একইসঙ্গে জানালেন, ‘আমরা একে অপরকে বাবু বলি অনেক আগে থেকে।’
চঞ্চল চৌধুরী: আমাদের বাবু পুরোনো এবং বৃদ্ধ বাবু।
পূর্ণিমা: মোটেই না। আমরা এখনো ইয়াং বাবুই আছি।
দুই তারকার খুনসুটিতে জমে ওঠে আড্ডা। একপর্যায়ে পূর্ণিমা বন্ধু থেকে সঞ্চালক বনে যান। ‘টিভি, সিনেমা ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম—সবখানেই তোমাকে দেখা যায়। কীভাবে এত কাজ করো?’
চঞ্চলের কাছে পূর্ণিমার প্রশ্ন। মুহূর্তে চঞ্চলও অতিথি হয়ে যান। ‘এত কাজ করছি না। তবে বেছে বেছে ভালো কাজগুলো করলে দর্শক অনেক দিন মনে রাখে। কাজ আমি খুবই কম করি। ইদানীং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ একটু বেশি করছি,’ বললেন চঞ্চল চৌধুরী।
‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চান পূর্ণিমা। বলে যান চঞ্চল, ‘দেশে আমার অনেক বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। দেশের গণ্ডি ছেড়ে আন্তর্জাতিক মানের একজন পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ এবং মুম্বাই গিয়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আমার প্রথম। এর আগে কলকাতাতে গিয়ে অভিনয় করেছিলাম গৌতম ঘোষের সঙ্গে “মনের মানুষ”সিনেমায়। দেশে কাজ করতাম। এরপর কলকাতায় গিয়ে কাজ করলাম। তারপর মুম্বাই। পার্থক্যটা আমি বুঝতে পারছি। বিশেষ করে আয়োজন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো। মুম্বাইয়ে বিশাল আয়োজন, বিশাল ব্যাপার। ওই আয়োজন আমরা বাংলাদেশের কাজের মধ্যে পাই না। আমরা যে বাজেটে কাজ করেছি, মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিজে হয় তো এর চেয়ে এক শ দেড় শ গুণ বেশি বাজেট। আয়োজনটা দেখার মতো। আর দ্বিতীয় হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে অভিনয়ের সুযোগ আমার জীবনে বিশাল একটি প্রাপ্তি। সিনেমায় আমি বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। শেখ লুৎফর রহমান আমার চরিত্র।’
বায়োপিকের কত শতাংশ কাজ হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘আমার পক্ষে বলা কঠিন। হতে পারে ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে, ৪০ ভাগ বাকি আছে। বায়োপিকের মুম্বাই অংশের কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ অংশের কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। আগে কথা ছিল বাংলাদেশ অংশের কাজ আমাদের দেশে শুটিং হবে। কোভিডের কারণে বাংলাদেশ অংশের কিছু শুটিং মুম্বাইয়ে করা হয়েছে। যেমন টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সেট বানিয়ে ওখানে শুটিং করা হয়েছে। এখন কোভিড কমেছে তাই ঢাকার কিছু অংশ ও আশপাশে আরও কিছু শুটিং হবে।’
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বা ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়েই প্রথম আলোর আয়োজন ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।