অভিনেতা মুরাদের ছেলে হাঙ্গেরিতে স্ট্যান্ড আপ কমেডির মঞ্চে, ইউক্রেনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন

বুদাপেস্টে আরমান পারভেজ মুরাদের বড় ছেলে তাওসিফ পারভেজ
ছবি : আরমান পারভেজ মুরাদের সৌজন্যে

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী আরমান পারভেজ মুরাদের বড় ছেলে তাওসিফ পারভেজ হাঙ্গেরির কার্নিভাস ইউনিভার্সিটি অব বুদাপেস্টে ফলিত অর্থনীতি নিয়ে পড়ছেন। এ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। বুদাপেস্টে পড়াশোনা করতে গিয়ে তিনি স্ট্যান্ড আপ কমেডির সঙ্গে যুক্ত হন। অভিনয়শিল্পী বাবা এরই মধ্যে জানতে পেরেছেন, তাঁর ছেলে স্ট্যান্ড আপ কমেডি করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের জন্য অর্থ সংগ্রহও করছেন।

দুই ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে অভিনয়শিল্পী আরমান পারভেজ মুরাদ

যুক্তরাজ্যের রুপার্ট ও তাওসিফ পারভেজ মিলে হট প্যাপরিকা নামে একটি কমেডি টিম গঠন করেছেন। এ দলকে আগামী মাসে স্ট্যান্ড আপ কমেডির একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানালেন বাবা আরমান পারভেজ মুরাদ।
আরমান পারভেজ মুরাদের দুই সন্তান। বড় ছেলে তাওসিফ ঢাকার মহাখালীর বিআইএস স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পড়েছেন। এরপর শতভাগ বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে হাঙ্গেরিতে যান। ফলিত অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকা তাওসিফ একসময় স্ট্যান্ড আপ কমেডির ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। দেড় বছর ধরে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত। বাবা মুরাদ অবশ্য তা জানতেনও না। যখন জানতে পারলেন, তত দিনে বছর পার।

মুরাদ বললেন, ‘আমি ভীষণ খুশি। আমার ছেলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল চর্চার সঙ্গে জড়িয়েছে, এটা আমার জন্য ভীষণ রকম আনন্দের। এর মধ্যে জানতে পারলাম, ওদের দলটি স্ট্যান্ড আপ কমেডির আন্তর্জাতিক মঞ্চে পারফর্ম করার আমন্ত্রণও পেয়েছে। আগামী মাসে সেই উৎসব হবে।’
স্ট্যান্ড আপ কমেডিতে মুরাদ তাঁর ছেলের সাফল্যে গৌরবান্বিত বোধ করছেন।

বুদাপেস্টে আরমান পারভেজ মুরাদের বড় ছেলে তাওসিফ পারভেজ

তিনি বললেন, ‘ছোটবেলায় তাওসিফ একবার অভিনয় করেছিল। প্রথম শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা তার ভালো লাগেনি। এরপর আর অভিনয়ে মোটেও আগ্রহী হয়নি। তাই আর কোনো দিন অভিনয় করেনি। তবে স্কুল–কলেজে ডিবেট করত। দেশের বাইরে গিয়ে এখন এমনটা করেছে, তা তো জানতেই দেয়নি। আমি মনে করি, স্ট্যান্ড আপ কমেডি থেকে অনেকেই অভিনয়ের মূলধারায় এসেছে। কখনো যদি তারও অভিনয়ে আগ্রহ জন্মায়, সেটা হবে আরও বেশি ভালো লাগার। তবে এটা পুরোপুরি তার স্বাধীনতা। পরিবার থেকে ওর মা-বাবা কেউই এসব চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নয়।’