গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমা ‘তুফান’। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, একই দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে কলকাতার একটি বাংলা সিনেমাও।
দুলাল দের সেই সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’-এ অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলাও। এটি কলকাতায় মিথিলার মুক্তি পাওয়া তৃতীয় চলচ্চিত্র। মুক্তির পর সিনেমাটির সঙ্গে মিথিলার অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন সমালোচকেরা।
সিনেমার কাহিনির প্রেক্ষাপট পানাঘাট শহরতলি। তরুণ চিকিৎসক অমিত রায়ের (সুহোত্র মুখোপাধ্যায়) মৃত্যুরহস্য সমাধানে এক বছর ধরে লড়ে যাচ্ছে পুলিশ, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।
ছবিতে অভিনেতারা চরিত্র অনুযায়ী ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। দেবযানীর চরিত্রে মিথিলা এবং অরণ্যর সহকারীর চরিত্রে সায়ন ঘোষের অভিনয় নজর কাড়ে।
তখন ডাক পড়ে সিআইডির পদস্থ অফিসার সুদর্শনের (শিলাজিৎ), সম্পর্কে অরণ্যর জামাইবাবু। অরণ্য (জীতু কমল) তার সঙ্গী হয়। এর পর কী হয়, তা–ই নিয়ে এগিয়েছে গল্প।
সিনেমাটি মূলত শখের গোয়েন্দা অরণ্য চ্যাটার্জির গল্প। ক্রিকেটার কাম গোয়েন্দাকে পর্দায় হাজির করেছেন নির্মাতা। নতুন এই গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জীতু কমল।
সিনেমাটি নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে লেখা হয়েছে, ‘পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একটু-একটু করে গল্প এগোতে থাকে শেষ দৃশ্যের দিকে, যেখানে পৌঁছে দর্শক জানতে পারে, প্রকৃত অপরাধী কে? সেটাই এই ঘরানার ছবির সবচেয়ে বড় চমক।
ছবিতে পরিচালক ও কলাকুশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমনই একটা গোয়েন্দা গল্প বলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু উপযুক্ত চিত্রনাট্য ও প্রয়োজনীয় যুক্তির প্রতি মনে হয় আরও একটু যত্ন নেওয়া যেত। এই ধরনের ছবিতে সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু, ছবির কিছু দৃশ্যে অতিরিক্ত আবার কিছু দৃশ্যে অপ্রয়োজনীয় সংলাপ নাটকের ধারটাকেই যেন কমিয়ে দেয়। চিত্রনাট্যের সহজ সরল গতির সঙ্গে তীক্ষ্ণ এবং প্রয়োজনীয় সংলাপ ছবির নাটকীয় সংঘাতগুলিকে বোধ হয় আরও জোরালো করতে পারত।’
‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’-এ মিথিলার অভিনয়ের প্রশংসা করে পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ছবিতে অভিনেতারা চরিত্র অনুযায়ী ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। দেবযানীর চরিত্রে মিথিলা এবং অরণ্যর সহকারীর চরিত্রে সায়ন ঘোষের অভিনয় নজর কাড়ে।’
বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে নিয়ে সংবাদ প্রতিদিনে লেখা হয়েছে, ‘মিথিলা স্বাভাবিক সুন্দরী, তাঁর চড়া মেকআপের প্রয়োজন ছিল না। তবে অভিনয়ে তিনি সাবলীল।’
সার্বিকভাবে সিনেমাটির প্রশংসা করে এই সময় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে লেখা হয়েছে, ‘কিছু মানুষের লোভ যেভাবে দেশকে ধ্বংস করছে, তার বিরুদ্ধে কোথাও প্রতিবাদ আছে ছবিটার মধ্যে। পরিচালক দুলাল দে ক্রীড়া সাংবাদিক। তাই ছবির সংলাপে বারবার খেলার খুঁটিনাটি এসেছে। এমনকি শেষ পাতে টুইস্টের জন্মের ক্ষেত্র সেটাই। এই টুইস্ট উপভোগ্য।’