বিতর্কের পর কতটা এগিয়েছেন পাওলি দাম

‘কালবেলা’, ‘থানা থেকে বলছি’, ‘তখন ২৩’, ‘কাগজের বউ’ দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন পাওলি দাম। অনেকেই ভেবেছিলেন, কলকাতার বাংলা সিনেমায় আগামী দিনে অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হবেন পাওলি। কিন্তু ক্যারিয়ার শুরুর প্রায় দেড় যুগ পর কি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে পেরেছেন অভিনেত্রী। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ছবিতে ছবিতে সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
১৯৮০ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম পাওলি দামের। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ২০০৩ সালে টিভি সিরিয়াল দিয়ে অভিনয় শুরু করেন পাওলি। চলচ্চিত্র অভিষেক হয় ২০০৬ সালে, ‘তিন ইয়ারির কথা’ দিয়ে
ইনস্টাগ্রাম থেকে
অভিনয় শুরুর পর ভিন্নধর্মী চরিত্র বাছাই, অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হন পাওলি। ‘কালবেলা’ থেকে তাঁকে ফোন করেছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন স্বয়ং। এ প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘“কালবেলা” দেখে উনি ফোন করেছিলেন। অচেনা নম্বর, ফোন ধরতেই ও পাশ থেকে কেউ বললেন, “আমি মৃণাল সেন বলছি।” সত্যি বলছি, বিশ্বাস করতে পারিনি। উনি বলেছিলেন যে ছবিতে আমার অভিনয় তাঁর ভালো লেগেছে’
২০১১ সালে ‘ছত্রাক’ সিনেমায় অভিনয় করেন পাওলি। এই সিনেমার একটি ক্লিপ ছবি মুক্তির আগেই ভাইরাল হয়। ক্লিপটিতে পাওলিকে দেখা যায় চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে, যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক
এরপর হিন্দি, বাংলা মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজে অভিনয় করেন পাওলি দাম। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যেভাবে আলোচনা তৈরি হয়েছিল, অভিনেত্রীর পরের সিনেমাগুলো সেভাবে আলো ছাড়াতে পারেনি। অনেকে মনে করেন, ‘ছত্রাক’ সিনেমার বিতর্কের কারণেই পাওলির ক্যারিয়ার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি
কিছুদিন আগেই পাওলিকে দেখা গেছে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা ‘পালান’-এ। এই ছবি মুক্তি উপলক্ষে আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে পাওলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কম কাজ করার কারণ। উত্তরে তিনি বলেন, ‘মহামারির পর বাংলা ছবির কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। ওটিটির কাজ বেড়েছে। সত্যি বলতে, একই ধরনের চরিত্র করতে চাই না। গল্প, চরিত্র, পরিচালক—অনেকগুলো বিষয় বিচার করে তারপর রাজি হই
অনেকে মনে করেন, বলিউডে মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলায় কাজ কমিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘সেটা কিন্তু ঠিক নয়; বরং এটাও তো হতে পারে যে সে রকম কোনো আকর্ষণীয় চিত্রনাট্যই আমার কাছে আসেনি। আসলে, এখন সংখ্যার তুলনায় কাজের গুণগত মান আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন কি ভাষা আর আলাদা করে বিচার্য বিষয়? শুধু হিন্দি কেন, ভালো চরিত্র পেলে দেশের যেকোনো ভাষাতেই আমি কাজ করতে রাজি’