অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ‘প্রতীক্ষা’ নামে কলকাতার একটি সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা তাসনিয়া ফারিণের। আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে কলকাতা ও যুক্তরাজ্যে শুটিং শুরুর কথা ছিল। খবরটি পুরোনো। তবে নতুন খবর হলো, এই সিনেমাতে ফারিণ আর কাজ করছেন না।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করে ফারিণ বলেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার কারণেই সিনেমাটি থেকে সেরে এসেছি। রোববার রাতে ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কেন হচ্ছে না—জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভিসা পেতে সময় লাগছে। নির্ধারিত নভেম্বর মাসে শুটিং শুরু করা না গেলে সমস্যা। কারণ, ওই সময় শুটিং শুরু করা না গেলে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর শিডিউল পাওয়া যাবে না। কিন্তু সঠিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়াও অনিশ্চিত। এসব কারণে ছবিটিতে কাজ করা হচ্ছে না।’
নিজের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকই মনে করছেন ফারিণ। তাঁর ভাষ্য, ‘ছবিটির কাজ নিয়ে কিছুটা টেনশনেও ছিলাম। কারণ, নভেম্বর থেকে শুটিং শুরু হলে সেপ্টেম্বর থেকে ছবির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসার কারণে প্রি-প্রোডাকশনের কাজে অংশ নিতে সেপ্টেম্বরে ভারতে যাওয়াও অনিশ্চিত ছিল। কারণ, ভিসা পাব কি পাব না, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এ ছাড়া নতুন কাজও হাতে নিতে পারছিলাম না। এখন অন্তত সেই চিন্তা থেকে মুক্ত হলাম।’
ছবিটির কাজ বাতিল করার কারণে ওই একই শিডিউলে নতুন একটি ওটিটির কাজ হাতে নিয়েছেন, জানালেন এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘সিনেমাটির কারণে অনেক কাজই ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি করছি না। ওই শিডিউলে নতুন একটি ওটিটির কাজ হাতে নিয়েছি। এটিও একটি বড় বাজেটের কাজ।’
ছবিটিতে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগির সুযোগ হাতছাড়া হওয়াতে আফসোস হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে ফারিণ বলেন, ‘অবশ্যই। কারণ, তাঁদের মতো বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করলে আমার ক্যারিয়ারে একটা প্রভাব তো পড়তই। তবে যেহেতু এর আগে কলকাতার একটি ছবিতে কাজ করেছি। তাঁদের সঙ্গে একটা জানাশোনা আমার তৈরি হয়েছে। তাঁরা আমার কাজ এখন নিয়মিতই দেখেন। সুতরাং সামনে কোনো একদিন আরও বড় কাজ হতে পারে।’
এর আগে ‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার আরেকটি ছবিতে কাজের কথা ছিল ফারিণের। সেটিও গত বছর বাতিল হয়েছে।
পরপর দুটি ছবিতে কাজ বাতিল হওয়াকে কাকতালীয় বলছেন ফারিণ। তাঁর বক্তব্য, ‘এটি একধরনের কাকতালীয় ঘটনা। পরপর দুটি ছবির বেলায় একই ঘটনা ঘটল। কিছু তো আর করার নেই। ভাগ্যেরও একটা ব্যাপার।’