‘মালটাকে গাড়িতে তোল’, এমন সংলাপের একটি মিম ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েকবার ফেসবুক থেকে ফেসবুকে ঘুরেছে মিমটি। এতে মধ্যবয়সী এক পুরুষের ছবি দেখা গেছে।
ছবির ব্যক্তিটি কে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কেউ কেউ। গত দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি মিম ভাইরাল হওয়ার পর পুরুষের মুখটি বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় জানা নেই অনেকের।
ছবির আলোচিত সেই ব্যক্তি সাধারণ কেউ নন, পশ্চিমবঙ্গের একসময়ের জনপ্রিয় একজন খলনায়ক। তাঁর নাম সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রজন্মের দর্শকের কাছে পরিচিত না হলেও সত্তর ও আশির দশকের ভারতীয় বাংলা সিনেমার দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত মুখ।
এখন প্রশ্ন হলো ‘মালটাকে গাড়িতে তোল’ সংলাপের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? সম্পর্ক আছে। এটি সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিনেমার একটি সংলাপ। সেই সংলাপটিই ঘুরেফিরে বাংলাদেশে ভাইরাল হয়েছে। শুধু মিমের প্রসঙ্গ বদলেছে; প্রেক্ষাপট একই রয়েছে।
একটি সিনেমার দৃশ্যে দেখা গেছে, ফাঁকা রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন নায়িকা, তাঁকে দেখে সৌমিত্রর চরিত্র বলেছে, ‘মালটাকে গাড়িতে তোল’। সেই থেকেই সৌমিত্রর সঙ্গে জুড়ে গেছে সংলাপটি।
খল চরিত্রের অভিনয়ের জন্য পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেতার জন্ম হুগলির পান্ডুয়ার দমদমা গ্রামে। ষাটের দশকে মাত্র আট বছর বয়সে ‘সুভা ও দেবতার গ্রাস’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তাঁর। আশির দশকে প্রায় দেড় শ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ত্রয়ী’ সিনেমায় দেবশ্রী রায় ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনয় করে আলোচিত হন। ‘ত্রয়ী’ ছাড়াও ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘ইন্দ্রজিৎ’, ‘পাপ পুণ্য’, ‘বদনাম’–এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।
২০০০ সালের ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪৬ বছর বয়সে মারা যান সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়।