ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘ইন্দ্রনীল ডিভোর্স চেয়েছিল, আমি ওকে মুক্তি দিয়েছি’

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত। তাঁদের আর এখন তারকা দম্পতি বলার উপায় নেই। বিচ্ছেদের পর তাঁরা এখন সাবেক হয়ে গেছেন। বাংলা, হিন্দি সিনেমা, সিরিয়ালে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। ইন্দ্রনীল তো একাধিক ঢাকাই সিনেমাও করেছেন। তাঁদের দাম্পত্য কলহ নিয়ে বিস্তর খবর হয়েছে। পরে দুজন বেছে নিয়েছেন বিচ্ছেদের পথ। তবে ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ব্যক্তিগত রেখেছেন বরখা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম এই সময় প্রাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বরখা।

প্রায় ১৪ বছর পর কলকাতার বাংলা সিনেমা অভিনয় করছেন বরখা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই বাংলা ছবিতে কাজ করতে চেয়েছি। “আমি সুভাষ বলছি” ও “দুই পৃথিবী”র পর আমার কাছে কোনো অফার আসেনি। মুম্বাইয়ে আমি অনেক কাজ করেছি, করছি। টালিউড থেকে ডাক পেলে ফিরিয়ে দিতাম না।’

বরখা বিশত। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

এরপরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার কাছে সম্পর্কের সংজ্ঞা কী?’ উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক নিয়ে যে ধারণা আমার ছিল, সেটা একেবারে ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে এই মুহূর্তে সফল সম্পর্ক মানে, দুটি মানুষের একসঙ্গে থাকা। দুজন এক বিন্দুতে থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা যায়। শুধু একে-অন্যের হাতটা ধরে রাখতে হবে।’

এরপরেই তিনি কথা বলেন ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বহুল চর্চিত বিচ্ছেদ নিয়ে। বরখার ভাষ্য, ‘আর কোনো উপায় ছিল না তাই। আমরা চার বছর সেপারেশনে ছিলাম। এরপর ডিভোর্সের মামলা শুরু হয়েছে। এই পর্যায়টা আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। আপাতত জীবনে কীভাবে মুভ অন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি।

বরখা বিশত।

আমরা একসঙ্গে যখন ছিলাম, একে-অপরকে ভীষণ সাপোর্ট করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। তবে আমি এখন বিশ্বাস করি, ঈশ্বর যা করেন, তা ভালোর জন্যই করেন। একটা সময় ইন্দ্রনীলকে কেন্দ্র করেই আমার জীবন ছিল। এখন নিজের মতো করে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছি।’

বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বরখা বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর ইন্দ্রনীল দিতে পারবে। আমি ভীষণভাবে বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছি। কিন্তু ইন্দ্রনীল বোধ হয় জীবনটা নতুনভাবে শুরু করতে চায়। তাই ও ডিভোর্স চেয়েছে। আমি আর জোর করিনি। কারণ, জোর করে কাউকে আটকে রাখা যায় না। ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।’ তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার পেছনে অনেকে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা দেখেন। এ নিয়ে বরখার বক্তব্য কী? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও ইন্দ্রনীলের দিকে বল ঠেলে দেন অভিনেত্রী।
বরখা বলেন, ‘সেটাও ইন্দ্রনীলই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। অনেক কিছু কানে এসেছে। সত্যি-মিথ্যার হিসাব করতে চাইনি। সম্পর্কটা আর থাকছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেন ভাঙছে, সেটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না।’

বরখা জানান, আপাতত মেয়ে মীরাকে নিয়েই সময় কাটছে তাঁর। অভিনয়ের বাইরে মেয়েকেই সময় দিতে চান তিনি।