হলিউড নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান নিজের ছবিতে প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে কৃত্রিমভাবে কিছু দেখাতে পছন্দ করেন না। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া তাঁর ছবি ‘ওপেনহাইমার’-এ যে বিস্ফোরণের দৃশ্য ছিল, সেটিও তিনি গ্রাফিকস করে নয়, শুটিংয়ের মাধ্যমে দেখিয়েছেন। তবে অনেক সিনেমায় এমন দৃশ্য থাকে, যেখানে গ্রাফিকসের ব্যবহার না করে উপায় থাকে না। তবে বাংলা সিনেমার গ্রাফিকস নিয়ে অনেক দর্শকেরই নাক সিঁটকানো ব্যাপার থাকে।
তবে সেটা যেন না হয়, সে জন্য ব্যাপক অর্থ লগ্নি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে নায়ক, প্রযোজক দেব। তাঁর পরের দুই ছবিতে গ্রাফিকসের পেছনের খরচ শুনলে চমকে উঠতে পারেন অনেকে।
গতকাল কলকাতায় জমকালো আয়োজনে প্রকাশ করা হয়েছে ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ সিনেমার ট্রেলার। দেব নিজের প্রযোজিত এ ছবিতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন ব্যোমকেশের চরিত্রে।
ছবিতে গল্পের প্রয়োজনেই সাপের উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল। দেব সিনেমায় সাপ দেখিয়েছেন গ্রাফিকসের মাধ্যমে। ছবিটিতে কেবল এই সাপের গ্রাফিকসের পেছনে তিনি খরচ করেছেন ৩৫ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ লাখ টাকার বেশি।
পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র সমালোচক, ইউটিউবার অরিত্র ব্যানার্জির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গ্রাফিকসের কারণে ছবির বাজেট বাড়ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, ‘দেব যদি ঝুঁকি না নেয়, তাহলে কে নেবেন?’ ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান থাকেন, তাঁরা যদি ঝুঁকি না নেন, তাহলে ১০ নম্বরের ব্যাটসম্যান কীভাবে নেবেন? তাই যেখানে সুযোগ আছে, আমরা যদি বড় স্কেলে না ভাবি, তাহলে তো পরিধিটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাবে।’
দেবের এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল দুর্গাপূজায়। আর আগস্টে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর আরেকটি সিনেমা ‘বাঘা যতীন’-এর। কিন্তু অভিনেতা জানান, প্রচুর গ্রাফিকসের কাজের জন্যই ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিটিতে বাঘের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দৃশ্য আছে। জানা গেছে, বাঘের দৃশ্যগুলোর গ্রাফিকসের পেছনেই ১ কোটি রুপি বা ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে।
আরও জানা গেছে, এস এস রাজামৌলির ‘আরআরআর’ ছবিতে যে টিম গ্রাফিকসের কাজ করেছিল, তারাই ‘বাঘা যতীন’ সিনেমার গ্রাফিকসের কাজ করেছে। ‘আরআরআর’ সিনেমায় বাঘের দৃশ্যটি তো এর মধ্যেই ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেবের ছবির ক্ষেত্রে কী হয়, সেটাই এখন দেখার।