চড়–কাণ্ডে জামিন পেলেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও চণ্ডীপুরের তৃণমূলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। জামিনের আবেদন শোনার পর সোহমকে জামিন দিয়েছেন বিচারক।
কলকাতার অভিনেতা সোহম তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের তৃণমূলের একজন বিধায়ক।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। এদিন কলকাতার নিউ টাউনের একটি রেস্তোরাঁয় সোহমের একটি ছবির শুটিং ছিল। সোহম তাঁর দলবল ও কলাকুশলী নিয়ে শুক্রবার হাজির হন ওই রেস্তোরাঁয়। কিন্তু গোল বাধে সোহম চক্রবর্তীর গাড়ি পার্কিং নিয়ে।
সোহম যেখানে গাড়িটি পার্ক করেন, সেখানে আপত্তি তোলেন রেস্তোরাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুলের সঙ্গে সোহমের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরে ধাক্কাধাক্কিতে গড়ায়। একপর্যায়ে আনিসুল সোহমের হাতে লাঞ্ছিত হন।
এ ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তুমুল বিতর্ক শুরু হলে সোহম উল্টো অভিযোগ করেন, রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অপমানজনক কথা বলেছেন। এতেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে গায়ে হাত তুলেছিলেন।
পরে অবশ্য এ ঘটনার জন্য সোহম দুঃখ প্রকাশ করলেও তাতে মন গলেনি রেস্তোরাঁর মালিকের। তিনি দুটি সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনেন। তাতে সোহমকে প্রকাশ্যে মারধর করতে দেখা গেছে। ঘটনার পরই সোহম ও আনিসুল পরস্পরের বিরুদ্ধে নিউ টাউন থানায় অভিযোগ করেন।
সেই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আজ সকালে তিনি বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রেস্তোরাঁর মালিক ও তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। হুমকিও পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
জীবনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন রেস্তোরাঁর মালিক। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেই আবেদন শুনানির জন্য গতকালই গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে।