গতকাল মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেববর্মা। স্ত্রী মুনমুন আর কন্যা রাইমা সে সময় ভরতের পাশে ছিলেন না। মা ও মেয়ে দুজনই কাজের সূত্রে দিল্লিতে ছিলেন। মৃত্যুর সময় বাবার পাশে ছিলেন ছোট মেয়ে রিয়া। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে কলকাতায় ফেরেন রাইমা।
গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাইমা ও মুনমুন। কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে মুনমুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। সবাইকে আগলে রাখতেন। আমাদের জীবনটাই বদলে যাবে।’
বাবার মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল বড় মেয়ে রাইমা সেন। অশ্রুসিক্ত চোখে অভিনেত্রী বলেন, ‘শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না। বাবাকে খুব মিস করব।’
এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন রাইমা। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় বাড়িতে মা–বাবার সঙ্গেই বরাবর থাকি। তাই বেশি রাত করে বাড়ি ফেরার আগে দুবার ভাবি।’
রাইমা কেন বিয়ে করছেন না, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে তাঁর বাবাও চেয়েছিলেন রাইমা সংসারী হোন। তা নিয়ে দীর্ঘদিন চিন্তিতও ছিলেন ভরত, জানিয়েছিলেন রাইমা।
কিন্তু পরে তিনিই নাকি বলেছিলেন, ‘তোমার বাড়ি আছে, সচ্ছল অবস্থা, অভিনয়জগতেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছ, আর কী চাই। বিয়ে করতেই হবে—এমন কোনো মানে নেই।’