পর্দা নামল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল আট দিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসব। আজ ছিল সমাপনী দিন। শেষ দিন মঞ্চে ছিলেন বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দারি এবং বলিউড পরিচালক সুধীর মিশ্র। আরও ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, ফিরহাদ হাকিম, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গৌতম ঘোষ, মমতা শঙ্কর, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী প্রমুখ।
ভারতীয় প্রামাণ্য বিভাগে সেরা ছবির সম্মান পায় ‘চ্যালেঞ্জ’। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সম্মান পায় ‘লাস্ট রিহার্সেল’ ছবি। আর নেটপ্যাক বিভাগে সেরা ছবির সম্মান পায় ‘ব্রকেন ড্রিমস স্টোরিজ ফ্রম দ্য মিয়ানমার ক্যু’। বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘অসম্পূর্ণ’ ছবিটি।
এবার এ উৎসব ২৯ বছরে পা দিয়েছে। এবারের উৎসবের উদ্বোধনী ছবি ছিল ‘দেয়া নেয়া’। সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ও উত্তম কুমার, তনুজা, তরুণ কুমার, পাহাড়ি সান্যাল, কমল মিত্র, লিলি চক্রবর্তী প্রমুখ অভিনীত ও ১৯৬৩ সালে নির্মিত এই ‘দেয়া নেয়া’ ছবি। এবারের উৎসবে যোগ দেওয়া ৩৯টি দেশের ২১৯ ছবি ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়েছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে যোগ দেয় সৈয়দা নিগার বানুর ছবি ‘নোনা পানি’। খুলনা অঞ্চলের জেলেদের জীবনযুদ্ধ নিয়ে তৈরি হয় ছবিটি।
কলকাতার এ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ১৯৯৫ সাল থেকে চলে আসছে। এবার এ উৎসব ২৯ বছরে পা দিল। ২০২১ সালের উৎসবের উদ্বোধনী ছবি ছিল সত্যজিৎ রায়ের পরিচালিত ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘অপুর সংসার’। ২০২০ সালে ছিল সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। গতবার ছিল ‘অভিমান’। অমিতাভ-জয়া বচ্চন অভিনীত ছবি। এবার উদ্বোধনী ছবি ছিল ‘দেয়া নেয়া’।
আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনে আয়োজিত সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দারি বলেছেন, ‘আমার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রখ্যাত পরিচালক মণিরত্নমের হাত ধরে। প্রথম দুটি ছবিতেও অভিনয় করেছিলাম মণিরত্নমের হাত ধরে। তিনি আমাকে গাইড দিয়েছেন। বলেছেন কলকাতায় যাও। কলকাতা এক অনন্য কালচারাল সিটি। সত্যি আমি কলকাতাকে ভালোবেসেছি। তাই তো ছুটে এসেছি।’
সুধীর মিশ্র বলেছেন, ‘কলকাতা আমার পুরোনো শহর। প্রখ্যাত নাট্যকার বাদল সরকারের সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। কাজ করেছি অস্কার বিজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও। তাই কলকাতা আদি এবং ভালোবাসার পীঠস্থান আমার। তাই তো আমি বারবার ছুটে আসি।’