নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের হাতে। তাকে বলা হতো হুগলির ‘দাউদ ইব্রাহিম’। খুন, অপহরণ, মাদক চোরাচালানের ৩০টি মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবন অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ছবি ‘হুব্বা’। ছবিতে হুব্বা শ্যামলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। সদ্য শেষ হয়েছে এই ছবির শুটিং।
ছবিটি নির্মাণ করছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক ব্রাত্য বসু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি কিছু ছবি পোস্ট করে এই সংবাদ দেন। তিনি লিখেছেন, ‘নতুন ক্রাইম থ্রিলার গ্যাংস্টার ছবি “হুব্বা”র শেষ পর্বের বর্ণময় এবং চ্যালেঞ্জিং শুটিং শেষ হলো। ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন মোশাররফ করিম। সঙ্গে আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তা ছাড়া নতুন একঝাঁক থিয়েটারের ডিসিপ্লিনড সম্ভাবনাময় এবং পোড় খাওয়া উদ্দীপক অভিনেতা অভিনেত্রীরা।’
ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এরপরই পরিচালক ‘হুব্বা’ ছবির জন্য মোশাররফ করিমকে চুক্তিবদ্ধ করেন। এর আগে ব্রাত্য বসু ভারতীয় গণমাধ্যমে ছবিটি নিয়ে বলেন, ‘ডিকশনারি’-তে পুরোদস্তুর সম্পর্কের গল্প বলেছিলাম, এবারের ছবির প্রেক্ষাপট রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা। এটিকে পলিটিক্যাল থ্রিলার বলা যায়।
ছবির শুটিং আরও আগে শুরু হলেও মোশাররফ করিমের অংশের শুটিং শুরু হয়েছিল ১১ অক্টোবর। তার আগেই মোশাররফ করিমের লুক প্রকাশ করেছিলেন নির্মাতারা। হুব্বা ও পুলিশের দ্বৈরথ নিয়ে এই ছবির গল্প। সুপ্রতিম সরকারের ‘আবার গোয়েন্দাপীঠ’ অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক নিজেই। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পৌলোমী বসু।
শোনা যায়, ৭০টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান তিনি। ২০১১ সালে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এর জন্য তার দুই স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছিল যে শ্যামলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর বেশ কিছুদিন পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচা গলা লাশ ভেসে ওঠে।