অভিনেতা মনোজ মিত্র
অভিনেতা মনোজ মিত্র

অভিনেতা মনোজ মিত্র গুরুতর অসুস্থ

নাট্যকার, নাট্যব্যক্তিত্ব, অভিনেতা মনোজ মিত্র গুরুতর অসুস্থ। গতকাল বুকে ব্যথা উঠলে তাঁকে কলকাতা সল্টলেক এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মনোজ মিত্রের বয়স ৮৫ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মনোজ মিত্র অসুস্থ হলে তাঁর বুকে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, তিনি এখন ভেন্টিলেশনে আছেন।
অভিনেতা মনোজ মিত্রের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহার গ্রামে। শৈশব কেটেছে তাঁর ওই গ্রামে। ১৯৫০ সালে ১২ বছর বয়সে তিনি চলে আসেন কলকাতায়। বাবা অশোক কুমার মিত্র স্বাধীনতা–উত্তর বাংলাদেশে ঢাকায় ভারতের দূতাবাসে চাকরি করেছেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতার নাট্যমঞ্চে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। আর ১৯৭৯ সালে প্রথম পা রেখেছিলেন সিনেমায়। অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ নানা পুরস্কার। ছিলেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ।

মনোজ মিত্র

তাঁর লেখা প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’। লিখেছিলেন ১৯৫৯ সালে। আর ১৯৭২ সালে ‘চাকভাঙা মধু’ নাটকের মধ্য দিয়ে তিনি পর্দার সামনে আসেন। ওই নাটকের নির্দেশনায় ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবতী। মনোজ মিত্রের মঞ্চনাটক, যাত্রা, আকাশবাণীর নাটকে অবাধ বিচরণ ছিল।

মনোজ মিত্রের লেখা প্রায় শত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘চাকভাঙা মধু’, ‘দর্পণে শরৎশশী’, ‘নরক গুলজার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘নৈশভোজ’, ‘চোখে আঙ্গুল দাদা’, ‘কাল বিহঙ্গ’, ‘অশ্বত্থথামা’, ‘মেশ ও রাখাল’, ‘অলকানন্দর পুত্রকন্যা’ উল্লেখযোগ্য। মনোজ মিত্র অভিনয় করেছেন ৫৭টি ছবিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘৬১ নম্বর গড়পার লেন’, ‘উমা’, ‘প্রেম বাইচান্স’, ‘অমর সাথি’, ‘ভালোবাসি শুধু তোমাকে’, ‘আগুন’, ‘চক্র’, ‘দত্তক’, ‘হিংসা’, ‘আবির্ভাব’ ও ‘তুফান’।
কলকাতার সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টজনেরা মনোজ মিত্রের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।