তিনি যা করেন, তা নিয়েই ট্রল হয়। নুসরাত জাহান কী করবেন, তা দেখার জন্যই বিদ্রুপকারী ব্যক্তিরা বসে থাকেন যেন। অভিনয়, রাজনীতি, পোশাক থেকে শুরু করে হেন ব্যক্তিগত বিষয় নেই, যা নিয়ে ট্রলের শিকার হননি পশ্চিমবঙ্গের এ অভিনেত্রী। তবে ট্রল যেন মাত্রা ছাড়ায় গত বছর, নুসরাতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর।
যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে তাঁর প্রেম বা বিয়ে—কোনো খবরই দুই তারকার কেউ জানাননি। জানা যায়নি, প্রথম স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরাতের বিচ্ছেদের খবরও। এ ইস্যু নিয়ে ট্রলকারী ব্যক্তিরা নিয়মিত আক্রমণ করতে থাকেন। বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য, নেতিবাচক খবর থেকে নানা ধরনের মিম—বাদ যায়নি কিছুই।
এসব দেখে কেমন লাগত সে সময় হবু মা নুসরাতের? তখন এ নিয়ে চুপ থাকলেও সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন এ অভিনেত্রী।
‘ডিকশনারি’ অভিনেত্রী জানান, তখনকার পরিস্থিতি মোকাবিলা তাঁর জন্য সহজ ছিল না মোটেও। সামাজিক মাধ্যমের বিদ্রুপ জীবন বিষিয়ে তুলেছিল। ঘুম থেকে উঠেই তাঁকে নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক খবর দেখতে হতো। এমনকি তিনি লাপাত্তা, এমন গুজবও রটে। কেউ কেউ তো তিনি আদৌ অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তবে মা হওয়ার পর এই অভিনেত্রীর পৃথিবী বদলে গেছে। ঠিক করেছেন, কিছুতেই আর ব্যঙ্গ–বিদ্রুপকে পাত্তা দেবেন না। সন্তানকে দেখভাল করা, শুটিং আর ফুরসত পেলে ঘোরাঘুরি—এভাবেই জীবনকে উপভোগ করতে চান।
‘মা হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লেখেন, আমার নাকি অভিনয় বন্ধ করা উচিত। অনেকের ধারণা, এ পেশায় থাকলে নাকি বাচ্চার খেয়াল রাখতে পারব না। কিন্তু শুটিং নির্দিষ্ট একটা সময় মেনে হয়। সেটা আগেই ঠিক করা থাকে। এর ফলে আমি আর বাচ্চার বাবা মিলে একটা ওকে দেখভালের সময় ভাগাভাগি করে নিই,’ ইন্ডিয়া টুডের এক অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।
মাতৃত্ব ভীষণ উপভোগ করছেন জানিয়ে নুসরাত আরও বলেন, ‘ছেলে হওয়ার পর অনেক বেশি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়েছি। মাতৃত্ব বিষয়টাকে এনজয় করি।’ মাতৃত্বকালীন বিরতি শেষে নিয়মিত কাজ শুরু করেছেন নুসরাত। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছু দেখেননি’ ও ‘জয় কালি কলকাত্তাওয়ালি’। যশ দাশগুপ্তকে নিয়ে নুসরাত এখন ছুটি কাটাতে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ায়।