আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড হাতে জয়া আহসান। ছবি: ফেসুবক থেকে
আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড হাতে জয়া আহসান। ছবি: ফেসুবক থেকে

ভারতে আনন্দলোক সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার জিতেছেন জয়া আহসান

‘বিনি সুতোয়’ চলচ্চিত্রের জন্য মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান অর্জন করেন জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনয়শিল্পীর সম্মাননা। এবার একই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে দেওয়া হলো বাংলা ভাষার জনপ্রিয় সাময়িকী আনন্দলোক সেরা অভিনেত্রী সম্মাননা। বুধবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোয়েল মল্লিক, রুক্মিণী মৈত্র, গার্গী রায় চৌধুরী, মধুমিতা সরকারের মতো কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের পেছনে ফেলে তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের কলকাতায় অভিনয়ের যাত্রা শুরু সেই ২০১৩ সালে, অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে তার বছরখানেক আগে বন্ধ হয়ে যায় আনন্দলোক সম্মাননা।

জয়া আহসান

পাঁচ দশকের পথচলা বাংলা ভাষার এই সাময়িকীর দৃষ্টিতে কলকাতার বাইরে থেকে সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা অর্জন করেন ঐশ্বরিয়ার রাই, রানী মুখার্জিসহ অনেকে। এবারও কলকাতার বাইরের অভিনয়শিল্পীর মধ্যে রাভিনা ট্যান্ডন পুরস্কার পেয়েছেন।

এই পুরস্কার অনেক দিক থেকে ভীষণ স্পেশাল আমার কাছে। অতনু ঘোষের ছবি “বিনি সুতোয়” আসলে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, ইচ্ছেমতো বাঁচার সমীকরণ জানিয়ে যায় অচিরেই। আমার অভিনীত চরিত্র শ্রাবণীর পরতে পরতে স্বপ্নের সেই বুনন।
জয়া আহসান
বিনি সুতোয় ছবির গল্প শুরু হবে টেলিভিশনের এক রিয়েলিটি গেম শোর মধ্য দিয়ে।

জয়া আহসান কলকাতায় তাঁর পথচলার শুরু থেকে অভিনয় দিয়ে দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের মন জয় করেছেন। একের পর এক দারুণ সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পুরস্কারও অর্জন করে চলছেন। ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের গুণী পরিচালকেরাও জয়ার সঙ্গে কাজ করে নিজেদের ভালো লাগার কথা শেয়ার করেছেন। এদিকে ১০ বছর পর শুরু হওয়া আনন্দলোক সম্মাননায় জয়া আহসান সেরা অভিনেত্রীর সম্মান অর্জনে খুশি হয়েছেন।

আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পেয়ে অনুভূতি জানাচ্ছেন জয়া।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জয়া আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘“বিনি সুতোয়” ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর আনন্দলোক পুরস্কার হাতে এল। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার টলিপাড়ার আনন্দলোকে পুরস্কারের পসরা সাজাল আনন্দলোক। এই পুরস্কার অনেক দিক থেকে ভীষণ স্পেশাল আমার কাছে। অতনু ঘোষের ছবি “বিনি সুতোয়” আসলে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, ইচ্ছেমতো বাঁচার সমীকরণ জানিয়ে যায় অচিরেই। আমার অভিনীত চরিত্র শ্রাবণীর পরতে পরতে স্বপ্নের সেই বুনন। ধন্যবাদ বড় ছোট কথা অতনুদা, এমনি করেই বারবার আলো করে রেখো আমাদের। আর আনন্দলোক, আপনাদের কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা যে শ্রাবণীর ইচ্ছেমতো বাঁচার কাহিনি ঘিরেই আমায় সেরা অভিনেত্রী নির্বাচন করলেন আপনারা। সামনের যাত্রাপথ স্বপ্নময় হোক। সঙ্গে থেকে যাক মায়ার বাঁধন “বিনি সুতোয়”।’

এর আগে তিনি বিনি সুতোয়-এর জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ‘সিনেমার সমাবর্তনে’ বিশেষ সম্মান পুরস্কার পেয়েছিলেন।

‘বিনি সুতোয়’ ছবিটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। টেলিভিশনের এক রিয়েলিটি গেম শোতে অডিশন দিতে যায় কাজল সরকার আর শ্রাবণী বড়ুয়া। অডিশন শেষে ফেরার পথে ঘটনা চক্রে দুজনের আলাপ হয়। তাদের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দুজন পরস্পরকে ঠিক চিনতে পেরেছে? এমন ভাবনা নিয়ে ‘বিনি সুতোয়’ ছবির গল্প এগিয়ে যায়। এখানে কাজলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী আর শ্রাবণীর ভূমিকায় জয়া আহসান। হাওয়াই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘স্পটলাইট অন ইন্ডিয়া’ বিভাগে একমাত্র ভারতীয় সিনেমা হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করে এই ছবি।

কলকাতার চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জয়া আহসান