পল্লবীর পর আরেক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিদিশা দে মজুমদার
বিদিশা দে মজুমদার

দক্ষিণ কলকাতার গরফা এলাকার উঠতি অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর গতকাল বুধবার রাতে অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় হলেও তিনি কলকাতার দমদম এলাকায় একটি ফ্লাট ভাড়া করে বসবাস করছিলেন। পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর এক বান্ধবীও। বিদিশা (২১) অভিনয়ের পাশাপাশি চার বছর ধরে মডেল হিসেবে কাজ করছিল বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে।

পুলিশ বলেছে, বিদিশার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় হলেও পেশাগত কারণে মাস দুয়েক হলো দমদমে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বাস করে আসছিলেন। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদিশা কক্ষের দরজা না খোলায় সন্ধ্যার পর পুলিশ ডেকে কক্ষ খোলার পর দেখা যায়, তিনি ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।

বিদিশার বাবার কাছে তাঁর ঘরের দরজা না খোলার খবর পৌঁছালে তাঁর মা–বাবা ছুটে আসেন। তারপর নাগেরবাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

বিদিশা দে মজুমদার

ঘটনাস্থলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেলে সেই নোটের বিষয়বস্তু জানা যায়নি। নাগেরবাজার থানার পুলিশ এই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে। এই মৃত্যুর পেছনে কোনো কারণ আছে কি না অথবা প্রেমঘটিত বা পেশাগত সমস্যায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও গতকাল বেশি রাত করে ফ্ল্যাটে ফেরায় সকালের দিকে তাঁর ঘর না খোলায় তেমন গুরুত্ব দেননি বিদিশা ও তাঁর বান্ধবীসহ আত্মীয়–পরিজন।

বিদিশা দে মজুমদার

গত সপ্তাতে কলকাতার গরফায় আরেক অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলে পুলিশ ঘটনার তদন্তে এসে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবীর বয়ফ্রেন্ড সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। সাগ্নিক এখন কারাগারে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

বিদিশা দে মজুমদার

যদিও পল্লবীর বাবা অভিযোগ করেছেন, পল্লবীর বন্ধু সাগ্নিক চক্রবর্তী, তাঁর নতুন এক বান্ধবী এবং অন্য এক বন্ধুকে নিয়ে পল্লবীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করে পল্লবীর দেহ গরফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকায় পল্লবীর ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ১৫ মে সকালে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগ্নিক পেশায় সিনেব্লগার; পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রির কাজও করেন।

বিদিশা দে মজুমদার